আমির হোসেন আমুর প্রভাবে ৫ বোনকে বাড়ি থেকে উৎখাত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২১
একটি হত্যা মামলার মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়ায় বাবা হারা পাঁচ বোনকে ভিটামাটি ছাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর প্রভাব খাটিয়ে হামলা ভাঙচুর করে বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে ওই পরিবারকে। বিচারের জন্য গত পাঁচ বছর বিভিন্ন দফতরে দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে গেলেও কোনো সুবিচার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। উল্টো গত ৫ আগস্টের পর সেই সন্ত্রাসীরা নিজেদের বিএনপি দাবি করে অত্যাচার অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ভৈরব পাশা ইউনিয়নের লক্ষণকাঠীর বাসিন্দা মুন্নি আক্তার বলেন, তার বাবা কেরামত আলী মাঝি মারা গেছেন অনেক আগে। মা একটি স্কুলের ছোট্ট একটি পোস্টে চাকরি করেন। তারা পাঁচ বোন। ২০১৪ স্থানীয় ফক্কার মাঝি একটি হত্যা মামলায় তাদের মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু তারা মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়ায় শুরু হয় নানা ধরনের নির্যাতন। বাবার পৈতৃক বাড়ি থেকে উৎখাত করতে পাঁয়তারা চালাতে থাকে।
ফক্কার মাঝি গংরা বলে, এ বাড়িতে থাকতে হলে চাঁদা দিতে হবে। এই বলে প্রতি মাসেই কম বেশি টাকা নিতো, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতো। বাড়ির এজমালি রাস্তার ভিতর বেড়া দিয়ে রাখতো, রাস্তায় হাঁটতে দিতো না। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বররা একাধিক মিটিং করে আমাদের একটু চলার রাস্তা বের করে দেন। এভাবেই চলতে থাকে। গত ২.০১.২০১৯ তারিখ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বড় বোনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। আমি বাদি হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ওই বিষয়ে অভিযোগ করলে আমাকে আর বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয় না। ঝালকাঠির এসপিকে জানালে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারধর করে টেনেহিঁচড়ে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। আমাদের ব্যবহৃত সব মালামাল ও আসবাবপত্র লুটপাট স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানালেও থানার ওসি সাখাওয়াত মামলা নেননি। অথচ আমাদের নামে চারটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এসপি মাহমুদের কাছে গেলে তিনি বলেছিলেন, অপরাধীরা এমপি আমির হোসেন আমু ভাই ও কাউন্সলর জি এস জাকিরের লোক তাই আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। গত ৫ আগস্টের পর সেই সন্ত্রাসীরা নিজেদের বিএনপি দাবি করে সেই অত্যাচার অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে। এখন বৃদ্ধা মা নিয়ে আমরা পাঁচ বোন বাড়িতে যেতে পারছি না।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ফক্কার মাঝির সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।