০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে : ১ মাসে নিহত ৪

নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে : ১ মাসে নিহত ৪ -

নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। এলাকায় ‘চোর’ কিংবা ‘ডাকাত’ শব্দ শুনলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা। সন্দেহভাজন যুবককে আটক করে তার ওপর সকলে চড়াও হচ্ছেন। লাঠিসোটা কিংবা হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তা দিয়েই এলোপাতাড়িভাবে মারধর করা হচ্ছে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় আহত যুবকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে ১ ডিসেম্বর থেকে গতকাল রোববার ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চারটি গণপিটুনির ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এই চারটি নিহতের ঘটনা দু’টি আড়াইহাজারে ও দু’টি ঘটেছে ফতুল্লায়।
গত ৪ জানুয়ারি রাতে আড়াইহাজার মাহমুদপুর ইউনিয়নের জোগারদিয়া এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে মকবুল হোসেন মুকুল (৪৫) নামে এক যুবক নিহত হন। পুলিশ জানায়, মকবুল হোসেন মুকুলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ডাকাতিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে বিল্লাল (৪৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত বিল্লাল আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মজিদের ছেলে। পুলিশ জানায়, বিল্লাল পেশাদার ডাকাত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর ফতুল্লায় ছিনতাইকারী সন্দেহে কামরুল হাসান (২৪) নামে এক যুবককে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত কামরুল হাসান চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার পশ্চিম কৃষ্টপুর গ্রামের মাইনুদ্দিন পাটোয়ারীর ছেলে।
গত ১ ডিসেম্বর ফতুল্লায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে নাদিম (৩৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে গণপিটুনিতে আহত হয় নাদিম। পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, আইন কোনোক্রমে হাতে তুলে নেয়া যাবে না, এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। জনসাধারণকে আরো সচেতন হতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement