নিজ অফিসে বাকৃবি অফিসারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৬
নিজ অফিস কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের এক কর্মকর্তা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার নাম কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোস্তাইন কবীর (সোহেল) (৪৫)। তিনি বর্তমানে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর (ওএসডি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিজ অফিসের ফ্যানের আংটার সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খান। মৃতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো: হেলাল উদ্দীন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীমসহ প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা।
জানা যায়, ঘটনা জানাজানি হলে বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সোহেলের নিজ অফিসের সামনে উপস্থিত হয়। পরে অফিসের দরজার লক ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তার গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখা যায় এবং তার জিহবা বের হয়ে ছিল। লাশের পাশে একটি টেবিল ছিল এবং টেবিলের ওপর কাচ লাগানো ছিল। কাচের ওপর একটি কাঠের চেয়ার ছিল। ওই চেয়ারে পায়ের ছাপও দেখা যায়। ওই রুমের এক পাশে একটি ভাঙা চেয়ারও ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সোহেলের একটি মোবাইল, চিরকুট, মানিব্যাগ (নগদ টাকা, এটিএম কার্ড), জাতীয় পরিচয়পত্র (তার ও তার স্ত্রীর) টেবিলের ওপর থাকা কিছু কাগজপত্র এবং তার পরিহিত জুতা ও মুজা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তবে তদন্তের স্বার্থে চিরকুটের বিষয়ে কিছু জানানো যাবে না বলে জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খান।
ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি কখন আসেছেন কেউ দেখেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে তিনি অফিসে আসেন। ওই বিভাগের মৌসুমি শ্রমিক সুমন নামের একজন ঘটনাটি প্রথম দেখেছেন বলে জানা যায়। তিনি ৫ আগস্টের আগে ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক বলেন, তিনি (সোহেল) আজকে নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে এসেছিলেন, তখন অফিসে কেউ ছিল না। তিনি নিজেই তার কক্ষের তালা খুলে প্রবেশ করেছেন এবং আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে টেবিলের ওপর উঠেছিলেন। টেবিলে ওঠার পায়ের ছাপ আমরা দেখেছি। ঘটনাস্থলে দুইটি নোট পাওয়া গেছে, যেগুলো পুলিশের কাছে আছে।