অনৈতিক সম্পর্কের সময় কান্না করায় ৬ মাসের শিশুকে হত্যা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৫
অনৈতিক সম্পর্কের সময় কান্না করায় ৬ মাসের সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মা ও তার পরকীয়া প্রেমিক। এর পর লাশ কাপড়ে মুড়িয়ে শপিং ব্যাগে ভরে দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ১২৪ নম্বর পিলারের সামনে ফেলে রাখে। গত ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্লবীতে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ঘটনায় মা ফাতেমা বেগম (২৫) ও তার পরকীয়া প্রেমিক মো: জাফরকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার গভীর রাতে পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়।
পল্লবী থানা সূত্রের বরাতে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত ৬ ডিসেম্বর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ১২৪ নং পিলার সংলগ্ন লেকপাড় থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি শিশুর লাশ পাওয়া যায়। শিশুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় পুলিশ দেখতে পায় তার গলায় সন্দেহজনক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে পল্লবী থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। মামলাটি তদন্তের একপর্যায়ে নিহত শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পুলিশ নিশ্চিত হয় শিশুটির নাম আমেনা, বয়স ৬ মাস। পরিচয় শনাক্তের পর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার মা মোসা: ফাতেমা বেগমকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। পরে ফাতেমার স্বীকারোক্তিতে তার পরকীয়া প্রেমিক জাফরকেও গ্রেফতার করে পল্লবী থানা পুলিশ।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতার দু’জনেই বিবাহিত। তারা পরিবার নিয়ে পল্লবী এলাকায় বসবাস করত। জাফর একটি গার্মেন্টসে কাজ করে। ফাতেমা আগে ওই গার্মেন্টসে কাজ করার সুবাদে জাফরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফাতেমার স্বামী গ্রিলের মেকানিক হিসেবে কাজ করায় বেশির ভাগ সময় বাসার বাইরে থাকেন। এই সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে তারা অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো।
গত ৫ ডিসেম্বর রাত ৮টায় জাফর ফাতেমার বাসায় শারীরিক সম্পর্কের জন্য আসে। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি করায় তাদের শারীরিক সম্পর্কে ব্যাঘাত ঘটে, তাই শিশুটিকে প্রথমে স্যুপের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অবচেতন করে। কিন্তু ওষুধের মাত্রা বেশি হওয়ায় শিশু আমেনা নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে দু’জনে বাঁচতে শিশুটির গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে জাফর লাশটি ফেলে আসে।
গ্রেফতার হওয়া জাফরকে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আরো তথ্যের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা