০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

আ’লীগের ব্যর্থতার কারণে ’৭৪ এর দুর্ভিক্ষ হয়েছিল : অধ্যাপক ফজলুল হক

-

জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ এড়াতে পারে না। কোনো হত্যাকাণ্ডই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া হয়নি। আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমত পোষণকারীদের নির্মমভাবে দমন করা হতো। তারা গুম, হত্যা, টর্চার সেল ও আয়নাঘরের মতো নির্যাতন কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। ’৭৫ এর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিলে ’২৪ এ এসে আওয়ামী লীগের এই করুন পরিণতি হতো না। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই ৭৪-এ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধাপে ধাপে দূষিত হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করে দলীয় বিবেচনায় বিচারকদের নিয়োগ দিয়েছে। হাইকোর্ট ডিভিশন ও সুপ্রিমকোর্ট থেকে যে সব রাজনৈতিক মামলার রায় হয়েছে সে সব রায়ের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল না। ফলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে যায়। শেখ মুজিবের সাথে ইয়াহিয়া খানের টেলিফোনে যোগাযোগ ছিল। তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য তাজউদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বার বার বললেও তিনি বাসা ছেড়ে কোথাও যেতে সম্মত হননি। শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধে যাননি। আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে ইতিহাসের নায়ক করতে গিয়ে অনেক জাতীয় নেতার অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণে ’৭৪ এর দুর্ভিক্ষ হয়েছে। সে সময় প্রতিদিনই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এলাকায় অনেক ক্ষুধার্ত মানুষকে মারা যেতে দেখা গেছে। গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র অয়োজনে জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরাজয় নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেলেও রেখে গেছেন হত্যাযজ্ঞের নির্মম চিহ্ন। রক্তে আঁকা এই ইতিহাস দেশের সবচেয়ে বড় কালো দাগ। এই গণহত্যার দায় আওয়ামী লীগ এড়াতে পারে না। জুলাই বিপ্লবে শহীদরা জাতীয় বীর হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
‘জুলাই হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয়ের চেয়ে সামাজিক পরাজয় বেশি হয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কে এম মাহমুদ হাসান, সাংবাদিক জাহানারা পারভিন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
চৌগাছায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ২ ভারতের দখলে থাকা কোদলা নদীর ৫ কিলোমিটার উদ্ধার করেছে বিজিবি বাংলার মাটিতেই গুম-হত্যার বিচার হবে : ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা চট্টগ্রাম আদালত থেকে ১৯১১টি মামলার ফাইল ‘উধাও’ বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অবনী মোহন গ্রেফতার খালেদা জিয়ার গাড়ির রুট প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসছে শীতকালীন ঝড় রাজধানীতে র‌্যাবের বিশেষ চেকপোস্ট ও রোবাস্ট পেট্রোল কার্যক্রম জোরদার সাবেক হুইপ কমলের ক্যাশিয়ার তপনকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা পদত্যাগের ঘোষণা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর

সকল