এবারের বইমেলাজুড়ে থাকবে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিচিহ্ন
- আবুল কালাম
- ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
আর মাত্র এক মাসেরও কম সময় বাকি। এরপরই শুরু হবে ভাষার মাস অমর একুশে। বাঙালির প্রাণের অস্তিত্বজুড়ে থাকা এ মাসের আগমনের সাথেই শুরু হবে প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলা। তবে আসছে বইমেলাতে এবার ভিন্নতা থাকছে। প্রতি বছর পুলিশের কৃতিত্ব তুলে ধরার পরিবর্তে এবারের মেলাজুড়ে থাকবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের স্মৃতিচিহ্ন।
আয়োজকরা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারের মেলাও যথাসময়ে শুরু হবে। এরই মধ্যে স্টল নির্মাণের কার্যক্রম চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এবার মেলা মাঠের সীমানা ঘিরে জুলাই আগস্ট বিপ্লবের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। এর বাইরে সব প্রস্তুতি থাকবে অন্যান্য বছরের মতো।
এ দিকে আসছে বইমেলা নিয়ে ফ্যাসিস্টদের চাকরিচ্যুতিসহ বাংলা একাডেমির কাছে ১৪ দাবি জানিয়েছেন প্রকাশকরা। প্রকাশকদের তিনটি সংগঠন বৈষম্যবিরোধী প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রকাশক সমিতির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এবারের একুশে বইমেলায় ৫০% স্টল ভাড়া কমানো। মেলায় সব স্টল একই ধরনের প্যাটার্নে তৈরির ব্যবস্থা করা। ২০২৫-এ মেলা কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটিতে সমানুপাতিক হারে প্রকাশক প্রতিনিধি রাখা ও মেলায় বিভিন্ন কমিটিতে সাংস্কৃতিক সংগঠন বা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধির সংখ্যা কমানো এবং দালাল প্রকাশক ও দালাল লেখকদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন।
প্রকাশক বাছাইপর্ব অনুসরণ করে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ প্রকাশকদেরই স্টল বরাদ্দ এবং স্টল পাওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা নির্ণয়ের জন্য রিভিউ কমিটির মাধ্যমে বাছাই করা। প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য প্রকাশকদের কাছ থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত বাংলাদেশের লেখক কর্তৃক লিখিত ২০২৪-এ প্রকাশিত ২৫টি নতুন বই অথবা ১০০টি মানসম্মত বই জমা দেয়া। প্রাথমিক আবেদনে অবশ্যই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নবায়ন করা ট্রেড লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট এবং প্রকাশকদের মুদ্রিত ক্যাটালগ জমা দেয়া।
বইমেলায় অবশ্যই প্যাভিলিয়ন বন্ধ করা। ১, ২, ৩ ও ৪ ইউনিটের স্টলগুলো দ্বিমুখী করা। কালো তালিকাভুক্ত কোনো প্রকাশককে স্টল বরাদ্দ না দেয়া। খাবারের দোকানের সংখ্যা কমিয়ে মানসম্মত দুই-তিনটি দোকান একেবারে পেছনের দিকে উন্মুক্ত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া এবং খাবারের দোকানে নির্ধারিত মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখা। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান (যদি বিকাশ থাকে) তাদের সর্বোচ্চ দু’টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা করা। কোনোভাবেই শিশুচত্বর আলাদা না করা।
চারটি প্যাভিলিয়নের পরিবর্তে বাংলা একাডেমিকে সর্বোচ্চ দু’টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া। মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিট ব্যবস্থা চালু করা। প্রকাশকদেরও সেলসম্যানদের মতো একই মূল্যের প্রবেশ কার্ড দেয়া। আর না হলে প্রকাশকদের আলাদা প্রবেশপথের ব্যবস্থা করা এবং এক প্রকাশনার বই আরেক প্রকাশনায় বিক্রি না করা।
এ ছাড়া বাংলাদেশে সৃজনশীল প্রকাশনা সেক্টরে চিহ্নিত লুটপাটকারী পতিত স্বৈরাচারের দোসর কালো তালিকাভুক্ত প্রকাশনা সংস্থা আগামী প্রকাশনী, অনিন্দ্য প্রকাশ, সময় প্রকাশন, তাম্রলিপি, কাকলী প্রকাশনী, চারুলিপি, অন্যপ্রকাশ, অনুপম প্রকাশনী, অন্বেষা প্রকাশন, বিশ্ব সাহিত্য ভবন, ন্যাশনাল পাবলিকেশন, জনতা প্রকাশ, জার্নিম্যান বুকস, পাঠক সমাবেশ, জিনিয়াস পাবলিকেশন্স, কবি প্রকাশন, ঝুমঝুমি প্রকাশন, নালন্দা, পাঠশালা, পুঁথি নিলয়, অয়ন, অনার্য পাবলিকেশন্স লিমিটেড, শব্দশৈলী, নওরোজ কিতাবিস্তান, মাতৃভাষা প্রকাশ ইত্যাদি প্রকাশনা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা। সেই সাথে বাংলা একাডেমিতে সরকার আমিন, স্বকৃত নোমান ও তপন বাগচিসহ ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের বাংলা একাডেমি থেকে চাকরিচ্যুত করা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা