০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

কভার সঙ্কটে ছাপার কাজ বন্ধ আমদানি হচ্ছে আর্ট কার্ড

কাগজের চাহিদা নিচ্ছে এনসিটিবি
-

বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপার কাজ দ্রুত এগিয়ে গেলেও প্রতিটি বইয়ের মলাটের কভার পেজের জন্য আটকে আছে অনেক ছাপাখানার মালিক। কাগজের সঙ্কট সমাধান করা সম্ভব হলেও অনেক ছাপাখানায় চাহিদামতো আর্ট কার্ড না থাকায় বইয়ের কভার পেজের ছাপার কাজে গতি আসছে না। ফলে বই সরবরাহের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। এ দিকে গত দুই দিন ধরে অনেক প্রেস মালিক জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) এসে তাদের আর্ট কার্ডের চাহিদা জানিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এগুলো সরবরাহ করার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন। এ দিকে সমস্যা সমাধানে আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে চীন থেকে ১৬শ’ মেট্রিক টন আর্ট কার্ড জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিবি।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ৪০ কোটির বেশি বিনামূল্যের বই ছাপা হচ্ছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার এই বইয়ের সংখ্যাও অনেক বেশি। এ বছর বই ছাপার জন্য প্রথম দিকে প্রেসগুলোতে কাগজের সঙ্কট থাকলেও এনসিটিবির নানামুখী ত্বরিত পদক্ষেপে সেই সমস্যারও সমাধান হয়েছে। প্রেসগুলো এখন দিনরাত বই ছাপার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, প্রতিটি বইয়ের ওপরের পেজ বা কভার পেজের জন্য যে আর্ট কার্ড দরকার সেগুলো শতভাগ আমদানিনির্ভর। বইয়ের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবার আর্ট কার্ডেরও চাহিদা বেশি। ফলে প্রথম দিকে বই মুদ্রণে আর্ট কার্ডের সঙ্কট চোখে না পড়লেও প্রেসগুলো যখন সবাই একযোগে বই ছাপার কাজ শুরু করেছে ঠিক তখনি আর্ট কার্ডের সঙ্কট হতে পারে এমন একটি আশঙ্কার তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪২টির মতো প্রেসের মালিক তারা নিজেরা এনসিটিবিতে এসে তাদের বইয়ের কভার পেজের জন্য আর্ট কার্ডের চাহিদা জানিয়েছেন।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে প্রাথমিকভাবে চীন থেকে ১৬০০ টন আর্ট কার্ড আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে এই আর্ট কার্ড চীন থেকে দেশে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেস মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর সাড়ে ৯ হাজার টন আর্ট কার্ডের চাহিদা থাকে। এর মধ্যে এবার ৪০ কোটি বইয়ের জন্যই আর্ট কার্ডের দরকার পড়ছে বেশি। শুধু বইয়ের কভার পেজের জন্যই আর্ট কার্ড দরকার পড়ছে ২৭শ’ থেকে ২৮শ’ টন। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যে পরিমাণ আর্ট কার্ড আমদানি করা হয়েছে, সেখান থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রেসের মালিকরা সাড়ে ৮০০ থেকে এক হাজার মেট্রিক টন আর্ট কার্ড সংগ্রহ করেছেন। গতকাল এবং গত পরশু যে পরিমাণ আর্ট কার্ডের চাহিদা বিভিন্ন প্রেস মালিকরা এনসিটিবিতে জানিয়েছেন তার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১২৫ টন। তবে এ বছর যেহেতু পাঠ্যবইয়ের পরিমাণ বেশি তাই এনসিটিবি প্রেস মালিকদের চাহিদার অতিরিক্ত আরো ৫০০ টন বাড়িয়ে ১৬০০ টন আর্ট কার্ড আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান নয়া দিগন্তকে জানান, আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত যে তথ্য আছে সেখানে কোনো প্রেসেই আর্ট কার্ডের সঙ্কট নেই। তবে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের পুরো এই মৌসুমে যে পরিমাণ আর্ট কার্ডের দরকার হবে সেখানে হয়তো কিছু ঘাটতি থাকবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই আরো কিছু আর্ট কার্ড আমদানি করার বিষয়ে ভাবছি। এ ছাড়া প্রেস মালিকদের দেয়া চাহিদার চেয়েও আরো বেশি কিছু আমদানি এ জন্য করব যেন শেষ দিকে কোনো প্রেসের চাহিদা বাড়লেও আমরা নিজেরাই সেটা সরবরাহ করতে পারি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, কভার সঙ্কটে ছাপার কাজ বন্ধ নেই কোথাও। এখনো প্রেসগুলোতে যে পরিমাণ আর্ট কার্ড তাদের মজুদে রয়েছে আগামী দু-তিন সপ্তাহ তো সহজেই চলে যাবে। এরই মধ্যে নতুন আমদানি করা আর্ট কার্ড দেশে চলে আসবে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাতের ভোটের ৩০ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে সংস্কার কতটা তার ওপর জটিলতা না থাকলে মঙ্গলবার বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চ্যালেঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মিলিত কল্যাণমুখী সরকার দেশের কল্যাণ আনবে : ডা: শফিক ছাত্রদলকে পড়ায় মনোযোগী হতে বললেন মির্জা ফখরুল বিএফআইইউ প্রধান হতে এস আলম ও আ’লীগের সুবিধাভোগীদের দৌড়ঝাঁপ পদ ছাড়াই রূপালী ব্যাংকে ঢালাও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন নিম্ন আদালতের ৫০ বিচারক দুপুরে সূর্য উঁকি দিলেও রাত কেটেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল