০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

কাল উৎসব না হলেও আনন্দের ঘাটতি থাকবে না শিক্ষার্থীদের

জেলা-উপজেলায় পৌঁছে যাচ্ছে নতুন বই
-


প্রতি বছরের মতো এবার জানুয়ারির প্রথম দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে কাগুজে বই উৎসব না হলেও আনন্দের কোনো ঘাটতি থাকবে না শিক্ষার্থীদের। বিগত বছরগুলোতে যেভাবে মানহীন কাগজে এবং ঝাঁপসা ছাপার নিম্নমানের বই দেয়া হতো এবারের নতুন বই হয়েছে ঝকঝকে। কাগজ কালির মানও উন্নত। ফলে শিক্ষার্থীরা বই হাতে পাওয়ার পর নতুন এক অনুভূতি পাবে। কাগজের বই ছাড়াও এবার বছরের প্রথম দিনেই অনলাইনে বা মোবাইলে ই-বুক উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের মা-বাবার মোবাইলেও ই-ভার্সনের সব বই পেয়ে যাবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বই পৌঁছে দেয়ার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। স্কুলে স্কুলে বইও পৌঁছে গেছে অনেক জেলা উপজেলায়। ফলে রাত পোহালেই বিনামূল্যের নতুন বই হাতে পাবে নতুন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা।

যদিও এ বছর একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বল্প সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকারকে ৪০ কোটির বেশি নতুন বই ছাপতে হচ্ছে। নতুন করে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্যও পাঁচ কোটির বেশি নতুন ছাপানো হচ্ছে। আগে কখনোই দশম শ্রেণীর নতুন বই ছাপানোর প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এবার জনআকাক্সক্ষার পরিপ্রেক্ষিতেই বিতর্কিত কারিকুলাম বাতিল করে দশম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের বিভাগ বিভাজনের সুযোগ দিয়ে তাদেরকে এক বছরের সিলেবাস দিয়ে নতুন বই দেয়া হচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিই এবার ভিন্ন। বিনামূলের ৪০ কোটির বেশি বই ছাপতে এবার যথেষ্ট সময়ও পাওয়া যায়নি। তবে বিগত আওয়ামী আমলে যেভাবে মানহীন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হতো সেই বই বছর না পেরোতেই পড়ারও অনুপযোগী হয়ে যেত। ফলে এবার বইয়ের মানের বিষয়ে শুরু থেকেই এনসিটিবি ছিল সতর্ক এবং কড়া নজরদারিও ছিল প্রেস মালিকদের প্রতি। এ কারণে ২০২৫ সালের নতুন বইয়ের কাগজের মান তথা ব্রাস্টিং, কাগজের পুরুত্ব বা জিএসএম এবং ছাপার উজ্জ্বল্যতাও বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় প্রাথমিকের প্রাক-প্রাথমিক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর সব বই পৌঁছে গেছে।
আজ মঙ্গলবারের মধ্যে চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীর বাকি বইও পৌঁছে দেয়া হবে। আশা করা হচ্ছে আগামীকাল বুধবার বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীরাই বই হাতে পাবে। তবে কিছু জেলা উপজেলায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর দু-একটি বই বাকি থাকলেও ৫ জানুয়ারির মধ্যেই সব বই হাতে পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।
অন্য দিকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাও মূল বই সবগুলোই আগামীকাল হাতে পাবে। এ ক্ষেত্রে কিছু জেলা উপজেলায় অল্পবিস্তর বই বাকি থাকলেও দ্রততম সময়ের মধ্যে তারাও সব বই পেয়ে যাবে।
বিশেষ করে এবার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেয়ার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ছাপার তাগিদ দিয়ে আসছে এনসিটিবি। কেননা দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মাত্র এক বছরেই তাদেরকে এসএসসির সিলেবাস শেষ করতে হবে।
আগে নবম এবং দশম এই দুই শ্রেণীতেই এসএসসির সিলেবাস পড়ানো হতো। এবার এক বছরের শুধু দশম শ্রেণী শেষ করেই তাদেরকে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ফলে ৫ জানুয়ারির মধ্যেই দশম শ্রেণীর সব শিক্ষার্থীর হাতে সবগুলো বই তুলে দেয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে এনসিটিবি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাতের ভোটের ৩০ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে সংস্কার কতটা তার ওপর জটিলতা না থাকলে মঙ্গলবার বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চ্যালেঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মিলিত কল্যাণমুখী সরকার দেশের কল্যাণ আনবে : ডা: শফিক ছাত্রদলকে পড়ায় মনোযোগী হতে বললেন মির্জা ফখরুল বিএফআইইউ প্রধান হতে এস আলম ও আ’লীগের সুবিধাভোগীদের দৌড়ঝাঁপ পদ ছাড়াই রূপালী ব্যাংকে ঢালাও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন নিম্ন আদালতের ৫০ বিচারক দুপুরে সূর্য উঁকি দিলেও রাত কেটেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল