০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`
চট্টগ্রামে সমাবেশে আমীর খসরু

ভিন্নরূপে ক্ষমতায় থাকার পায়চারি করবেন না

-


ভিন্নরূপে মাঝখানে থেকে খেলাধুলা করে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার থাকতে পারবে না। দেশে এখন গণতন্ত্রের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এগুলো ঠেকিয়ে আবার বহুরূপে, ভিন্নরূপে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকার পায়চারি করলে সেটা চলবে না।
তিনি গতকাল বিকেলে নগরীর মাঝির ঘাট স্ট্যান্ডরোডে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সদরঘাট থানা বিএনপির এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সদরঘাট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম সম্রাটের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সিটি মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।
নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করে ষড়যন্ত্র চলবে না মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, আগে থেকে বলে দিচ্ছি, বড় বড় স্বৈরাচারকে দেশের মানুষ বিতাড়িত করেছে।
ওই প্রক্রিয়ায়, ভিন্নরূপে বহুরূপের ভাব দিয়ে আর কোনো স্বৈরাচারকে থাকতে দিব না। নির্বাচন দিতে হবে, দেশের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করে ষড়যন্ত্র চলবে না। দেশের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম গত ১৫-২০ বছর ভোট দিতে পারেনি। মহিলারা ভোট দিতে পারেনি। সবাই ভোট দেয়ার অপেক্ষায় আছে।

তিনি বলেন, এখানে মাঝখানে কেউ এসে খেলাধুলা করবেন, ভোট পিছিয়ে দিবেন, বিলম্বিত করবেন, অন্য ষড়যন্ত্র করে ওই শেখ হাসিনা একভাবে স্বৈরাচার, আপনারা অন্যভাবে এসব করে লাভ হবে না। তাই আগে থেকে জনগণের দেওয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। শেখ হাসিনা জনগণের দেওয়ালের লিখন পড়তে পারেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য।
এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার অপেক্ষায় আছে। জীবনের নিরাপত্তা দেশের মানুষ চায়। তাই কিছু মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কোন পথে যাবে, সেটা কি জনগণ গ্রহণ করবে? যত সংস্কার প্রয়োজন, তত সংস্কার দেশের সংসদে হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রধান বক্তা ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা শহরের চারিদিক থেকে যখন মিছিল আসতো এই মিছিলের অগ্রভাগে ছিল শ্রমিকের মিছিল। এই মিছিল দেখেই শেখ হাসিনা লক্ষণ সেনের মত পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় পালিয়ে যায়। ’৭১ সালে শেখ মুজিব ও ওয়ান- ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনা পালিয়েছিল। আর ’৭১ সালে শহীদ জিয়া ও ওয়ান-ইলেভেনের সময় বেগম খালেদা জিয়া হাল ধরেছিলেন।
নগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যই শহীদ জিয়া শ্রমিক দল গঠন করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া শ্রমিক সমাজের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আর বিগত সরকার শ্রমিকদের স্বার্থ ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে, অর্থনীতি ধ্বংস করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement