গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন আলাদা আইন তৈরির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গণমাধ্যমের সুরক্ষার জন্য আলাদা আইন তৈরির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার অন ফ্রিডম অব অপিনিয়ন অ্যান্ড এক্সপ্রেশন আইরিন খানের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়ের সময় কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ এ কথা বলেন। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি, পরিধি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে আইরিন খান আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আইরিন খান বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংস্কারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও অংশিদারিত্ব রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সনদের স্বাক্ষরকারী দেশ এবং সেসব আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে প্রতিটি দেশের জন্য কিছু না কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তিনি বলেন, সাইবার সুরক্ষা আইনের যে, খসড়া প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মানবাধিকার বিষয়ে অনেক উদ্বেগ রয়েই গেছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতা আগের আইনের ক্ষমতাই অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা হতাশাজনক। একজন সাংবাদিক নিহত হলে গণমাধ্যমের ওপর তার একটা ভীতিকর প্রভাব পড়ে। এ ভয়ের বিষয়টি সেল্ফ সেন্সরশিপের কারণ হয়ে দেখা দেয়। গণমাধ্যমের মালিকানায় স্বচ্ছতার বিষয়েও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
কমিশন প্রধান বলেন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা থেকে নানাধরনের আপসের প্রশ্ন আসে, নানাধরনের দুর্নীতি হয়, নানাধরনের ছাড় দেয়ার প্রশ্ন ওঠে এবং সে কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইনগত বাধা একটা বড় উদ্বেগের বিষয়। অনেক আইন আছে, যেসব দিয়ে আমাদের অধিকারকে সীমিত করে রাখা হয়েছে। আইন এমন ভাবে তৈরি আছে, চাইলেই সরকার সেটা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে ব্যবহার করতে পারে। যতটা সুযোগ আইনে আছে সরকার ততটা যদি কাজে লাগায় তাহলে আসলে কোনো গণমাধ্যমই কাজ করতে পারবে না।
জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার অন ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের সাথে ইউনেস্কোর প্রোগ্রাম অফিসার নূরে জান্নাত প্রমা উপস্থিত ছিলেন।
কমিশন সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, সৈয়দ আবদাল আহমদ, জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা