ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪
ভারত থেকে সব অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল রেজিস্ট্রি ডাকের মাধ্যমে আইনি নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো: মাহমুদুল হাসান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রফতানি প্রধান বরাবর এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশ ‘তুলনামূলক সুবিধা’ নীতি অনুসরণ করে থাকে। তুলনামূলক সুবিধা বলতে এমন একটি অর্থনৈতিক নীতি বোঝায়, যেখানে একটি দেশ সেসব পণ্য বা সেবা আমদানি করে, যেগুলো দেশীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হলেও তা তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যয়ে উৎপাদিত হয়।
এ নীতির মাধ্যমে দেশটি নিজের সম্পদ ও দক্ষতা সেসব খাতে কেন্দ্রীভূত করে, যেখানে তার তুলনামূলক সুবিধা রয়েছে। ফলে দেশটি কম খরচে উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি করতে পারে এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে আর্থিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটায়; কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এই আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ভারত থেকে কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি ব্যাপক পরিমাণ অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে থাকে। এ অপ্রয়োজনীয় পণ্য বলতে সেই পণ্যগুলোকে বোঝায় যেগুলো আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
আরো একটি ভয়াবহ বিষয় হলো, বাংলাদেশের যে আমদানিকারকরা ভারতীয় পণ্য আমদানি করেন, তারা অধিকাংশই প্রকৃত আমদানিকারক নন। তারা মূলত ভারতীয় রফতানিকারকদের দালাল। এই দালাল আমদানিকারকরা ভারতীয় রফতানিকারকদের নির্দেশনা অনুযায়ী কম দামে ভারত থেকে মালামাল আমদানি করে সেগুলো বাংলাদেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন এবং সেগুলোর মূল্য হুন্ডি করে ভারতীয় রফতানিকারকদের কাছে পাঠিয়ে দেন এবং বিনিময়ে কিছু কমিশন পান।
মূলত ভারতীয় রফতানিকারকরা তাদের ব্যবসায়িক অপকৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে দালাল আমদানিকারকদের নিয়োজিত রাখেন। এর ফলে সব অপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশের বাজারে ছেড়ে দেন বা ডাম্পিং করেন। ভারতীয় রফতানিকারকদের এই অপকৌশলের ফলে বাংলাদেশ কয়েকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ আইনি নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ভারত থেকে সব অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে এবং যে বাংলাদেশী দালাল আমদানিকারকরা (ডামি ইমপোর্টার্স) ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করেন এবং হুন্ডি বা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ভারতীয় রফতানিকারকদের লাভের টাকা পাঠান, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা