চোরাচালানের স্বর্ণ উদ্ধারে বিমান জব্ধ
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ থেকে চোরাচালানের স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় পুরো উড়োজাহাজটিই জব্ধ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দারা। মূলত বিমানটির পাইলট ক্রুদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ৮-১০ বছর আগেও এ ধরনের বিমান জব্দে নজির থাকলেও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এটিই প্রথম বলে সূত্র জানায়।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: মিনহাজ উদ্দিন গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে বলেন, চোরাচালানের পণ্যের সাথে ক্যারিয়ার জব্দ করার নিয়ম আছে। বিমান যেহেতু ন্যাশনাল ক্যারিয়ার, আমরা ডকুমেন্টারি বিমানটি জব্দ করেছি যাতে পাইলট-ক্রুদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়। বিমানটিতে কর্মরত সবার বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু বিমানটি জব্দ করা করা হয়েছে, চট্টগ্রাম শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিমান কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জিম্মায় নিতে হবে বিমানটিকে।
তিনি জানান, যেহেতু স্বর্ণগুলো যেভাবে সিটের নিচে লুকানো হয় বিমানের লোক জড়িত না থাকলে তা সম্ভব নয়। তাছাড়া পাইলটের রুম থেকে সবকিছু দেখার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, চোরাচালানের পণ্য বহন করায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী এ উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়েছে। এতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও জবাবদিহির মধ্যে আসবে। প্রকৃত অপরাধী যাতে চিহ্নিত হয় সেজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জব্দ তালিকায় বোয়িং ৭৭৭-ইআর মডেলের উড়োজাহাজটির মূল্য দেখানো হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৪৮ উড়োজাহাজটি গতকাল সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ ও কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে উড়োজাহাজের ‘৯জে’ আসনের নিচ থেকে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের ২০টি সোনার বার জব্দ করে। এ ঘটনায় ওই আসনের সংশ্লিষ্ট যাত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ওই নারীযাত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘ওশেন গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি’ নামের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন বলে সূত্র জানায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা