পতেঙ্গা আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হবে : চসিক মেয়র
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্রে রূপান্তর করতে চান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন। এ লক্ষ্যে নেয়া পরিকল্পনাগুলো আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গতকাল পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে ট্যুরিস্টদের বিনোদনসুবিধা বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন মেয়র। এদিন বিচের ১০টি স্পটে বর্জ্যের বিন স্থাপন এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া নারী ট্যুরিস্টদের জন্য টয়লেট নির্মাণ এবং সৈকতে আলোকায়নের ঘোষণা দেন তিনি।
মেয়র বলেন, পতেঙ্গাকে আন্তর্জাতিক মানের ট্যুরিস্ট স্পটে রূপান্তর করতে কাজ করছি। সৈকত পরিষ্কার রাখতে আমরা ১০টি স্পটে বর্জ্যের বিন স্থাপন করেছি, যাতে ময়লা-আবর্জনা যেখানে-সেখানে না পড়ে এবং এলাকার সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন থাকে। ধারাবাহিকভাবে পুরো সৈকত এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে বিন স্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি গণসচেতনতা কার্যক্রমও আয়োজন করেছি।
‘বিচ এলাকাটি আগে সন্ধ্যার পরে অন্ধকার হয়ে যেত। আমরা সেই সমস্যা সমাধানে লাইটিং ব্যবস্থা উন্নত করেছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা এই নতুন লাইটিং সুবিধা চালু করব। এ ছাড়া মহিলাদের জন্য টয়লেট সুবিধা চালু করা হচ্ছে, যা আগে এখানে ছিল না। পর্যটকদের আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা গ্রিন প্ল্যান্টেশন বা বনায়ন ও সবুজায়ন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করছি। বসার জায়গাগুলো রঙিন করা হয়েছে, যাতে এগুলো আরো দৃষ্টিনন্দন হয়।
তিনি বলেন, আমরা পতেঙ্গা এলাকায় একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করেছি, যা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হবে। আমাদের এই উদ্যোগগুলোকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে আমরা সবাই মিলে চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
এরপর ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বিএনআরআরবির সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন। বিমানবন্দর সড়কের পাশে ১৫ নম্বর গুপ্তখালের অদূরে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে স্টিলের ফুটওভার ব্রিজটির দৈর্ঘ্য হবে ২০ থেকে ২১ মিটার। ফুটওভার ব্রিজটিতে ওঠানামার জন্য চারটি সিঁড়ি থাকবে। পুরো নগরীতে ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহ আলম, প্রকল্প পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর ডাক্তার নুরুল আবছার, ডক ইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুর রহমান সেলিম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু তৈয়বসহ বিএনপি এবং বিএনপির সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরিচ্ছন্নতাকার্যক্রমে সহযোগিতা করে ‘ক্লিন বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।