কালুরঘাট রেলসেতুর ফ্যাসিবাদীদের দেয়া দরপত্র বাতিলের দাবি
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯
সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাস্তবতার চেয়ে অনেক কম মূল্যে ফ্যাসিবাদের দোসরদের দেয়া চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুর দরপত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজু।
গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী শাখা লাইনের কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট রেলসেতু নং-মিডি/১০ এর ওপর দিয়ে বিদ্যমান সড়ক পথে যানবাহন (সুনির্দিষ্ট) পারাপারের জন্য রেলওয়ে প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত হারে মাশুল/ টোল আদায়ের স্বত্ব এক বছরের জন্য ইজারা প্রদানে ৯ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠিত দরপত্র বাতিল পূর্বক পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে হবে।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের দরপত্র আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ৯টি দরপত্র জমা হয়। তার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ‘মাওয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দর ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা দর পাওয়া যায়, যা রেলসেতু বিবেচনায় প্রাপ্য দরের চেয়ে অত্যন্ত কম। এতে রেলওয়ে প্রশাসন তথা সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলের এই কম দর গ্রহণ করা কোনো অবস্থাতেই দেশের জন্য কাম্য নয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পলাতক অবস্থায় দূর থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম দরপত্র দাখিল করে। প্রকৃতপক্ষে, আরো অনেক বেশি পরিমাণ দর পাওয়া বাস্তবতা ও সময়ের দাবি। এতে অধিক রাজস্ব আয় থেকে সরকার তথা রেল প্রশাসন বঞ্চিত হবে, যা জনস্বার্থে গ্রহণযোগ্য নয়, বিধায় আহবানকৃত দরপত্র বাতিল পূর্বক পুনঃদরপত্র আহবান করা অতীব জরুরি।
এম এ হাশেম রাজু বলেন, আমরা গত ১৮ ডিসেম্বর প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণাদিসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন দাখিলের পর এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতেই প্রমাণ হয় পতিত ফ্যাসিস্টের শৃঙ্খল এখনো দ্বিগুণ শক্তিশালী। তারা এখনো রাষ্ট্রের সম্পদ বীরদর্পে লুটপাট করে খাচ্ছে। কিন্তু বিপ্লবী ছাত্র-জনতা তাদের সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা