২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চাঁদাবাজদের হালনাগাদ তালিকা হচ্ছে, শিগগিরই অভিযান : ডিএমপি কমিশনার

-

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী বলেছেন চাঁদাবাজদের একটি হালনাগাদ তালিকা তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই তালিকা ধরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। চাঁদাবাজি একটি সামাজিক সমস্যা। চাঁদাবাজির জন্য নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
গতকাল শনিবার সকালে রমনা থানা এলাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিফ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও সম্মানিত নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ঠেকানোর জন্য আমাদের উপর অনেক দায়িত্ব। এই চাঁদাবাজি মোকাবেলার জন্য সমাজের প্রতিটি অঙ্গসংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। কোথায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, কারা চাঁদাবাজি করছে তাদের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে।
কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরের বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি সাধন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। জনসম্পৃক্তার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। ঢাকা একটি জনবহুল শহর। এই শহরের যে পরিকল্পনা তা সঠিকভাবে তৈরি করা হয়নি। যেখানে রাস্তাঘাট থাকার কথা ছিল ২৫ শতাংশ, সেখানে রয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। এর ফলে নানাবিধ সমস্যা এই শহরে সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যেও আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এইসব সমস্যা সমাধান করতে হবে। গত এক মাসে আমরা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। মতবিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার টেবিলে সমাধান করা উচিত। তবে এর জন্য বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত নয়।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে করা উচিত। কেননা রাস্তায় সভা-সমাবেশ করলে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে হাসপাতালগামী রোগী, বিদেশগামী যাত্রীগণসহ সর্বস্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে যেন এই মিছিল অথবা সমাবেশ অন্যের কাজে বিঘœ না ঘটায়। হকার উচ্ছেদের ক্ষেত্রে কিছু মানবিক বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ যাতে সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্কভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া কনস্ট্রাকশনের কাজে ব্যবহৃত ইট, বালু যত্রতত্র রাস্তায় রেখে সাধারণ পথচারীর সমস্যা তৈরি না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও রমনা থানা এলাকার নাগরিকরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো: মাসুদ আলম। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো: ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো: শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো: মাসুদ করিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement