২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি

প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ অর্থনীতির চালিকাশক্তি : আবু আহমেদ

চ্যাম্পিয়ন দলের বিতার্কিকদের হাতে ট্রফি ও চেক তুলে দিচ্ছেন অধ্যাপক আবু আহমেদ ও হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ : নয়া দিগন্ত -

ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ (রেমিট্যান্স) দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। বর্তমানে দেশের চারদিকে যে চাকচিক্য তা অভিবাসীদের রেমিট্যান্সের কারণেই হয়েছে। অভিবাসী শ্রমিকদের প্রখর দেশাত্মবোধ রয়েছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই দেশের রিয়েল হিরো। রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বাড়ানো উচিত।
গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে সিম্স প্রকল্প, হেলভেটাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ‘অভিবাসী কর্মীদের যথার্থ মূল্যায়নই রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করতে পারে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। আরো বক্তব্য দেন হেলভেটাস বাংলাদেশের সিম্স প্রকল্প পরিচালক আবুল বাসার।
আবু আহমেদ বলেন, প্রবাসীরা বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন ও রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করেছিল। তারা নানা শর্তের বেড়াজালে আইএমএফ চার বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। অথচ প্রবাসীরা কোনো শর্ত ছাড়াই বছরে ২৪-২৫ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাচ্ছে।
তিনি অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের মূল্যায়নে গুরুত্বারোপ ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর বর্তমানে দেয়া প্রণোদনার হার বাড়ানোর সুপারিশ করেন। একই সাথে অভিবাসীদের সন্তানদের স্কুল-কলেজে ভর্তির বিশেষ সুবিধা দেয়া যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের কর্মক্ষম ২৫ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয় অভিবাসনের মাধ্যমে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান না হলে বাংলাদেশে দরিদের হার আরো ১০ শতাংশ বেড়ে যেত। এ দেশের উন্নয়নের মূল নায়ক কৃষক, শ্রমিক, মজুর, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে সারা পৃথিবীতে অবস্থানকারী অভিবাসী ভাইবোনরা। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজকে পরাজিত করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা চ্যাম্পিয়ন হন। বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, ড. জামিল আহমেদ, সাংবাদিক মিরাজ হোসেন গাজী ও সাংবাদিক আরাফাত আরা। প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে পুরস্কার হিসেবে ট্রফি, সনদপত্র, চ্যাম্পিয়ন দলকে ৩০ হাজার ও রানারআপ দলকে ২০ হাজার টাকা নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল