১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এক ইঞ্চিও আটকাবে না সরকার : প্রেস সচিব

নতুন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা শেষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কর্মকর্তা ও অতিথিরা : নয়া দিগন্ত -


সাংবাদিকদের স্বাধীনতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক ইঞ্চিও আটকাবে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাইয়ের ১৪ তারিখ থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত একটা ভয়াবহ সময় পার করেছি। আমরা ট্রমার মধ্যে ছিলাম। মুখটাকে বন্ধ করতে যা ইচ্ছা তাই করেছে। অনেকে তাদের দালাল হিসেবে কাজ করেছে। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে দালালি করেছেন। অনেক সাংবাদিক কিন্তু স্বৈরাচারের সাথে তেলযুদ্ধে পারেননি। কম তেল হলেই আউট। ১৫টি বছর আমরা এভাবে কাটিয়েছি। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মাস্তুল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ডিইউজে সহসভাপতি রফিক মুহাম্মদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কোনো গণমাধ্যমকর্মী যাতে আহত না হন। যারা সংবাদপত্র চালান তাদের একটা বড় দায় রয়েছে। মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের সেফটি ইকুইপমেন্ট পর্যাপ্তভাবে দেন না। ভিজে যে রিস্ক নিয়ে সংবাদ কাভার করেন, সে রিস্ক কেউ নেয় না। কোনো প্রতিবেদককে যেন সেফটি গিয়ার বাদে সংবাদ কাভার করতে না হয়। বাংলাদেশের সবাই যেন প্রত্যেকটা ঘটনা রিস্ক ফ্রি ওয়েতে কাভার করেন।
শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে ফ্রিডম অব প্রেস, স্পিচ, অ্যাসোসিয়েশন যেন নিশ্চিত করা হয়। কারো স্বাধীনতা আমরা এক ইঞ্চি আটকাব না। এ রকম স্বাধীনতা বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। কেউ বলতে পারবে না কাউকে আমরা একটা নিউজের ক্ষেত্রে মাথা ঘামিয়েছি। অনেকে বলছেন আমাদের সময়ে মামলা হচ্ছে, কিন্তু গিয়ে দেখেন আমরা কেউ এর মধ্যে আছে কি না।
গণমাধ্যম মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা বেতন দিতে পারবেন না, তাদের গণমাধ্যম চালানোর দরকার নেই। বন্ধ করে দিন। অনেক বছর ধরে ওয়েজ বোর্ড গঠন হচ্ছে না। সাংবাদিকদের জন্য যদি ইনভেস্ট না করতে পারেন, বন্ধ করে দিন। অনেক সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাদ পড়েছে, সেটি রিভিউ করা হচ্ছে বলেও জানান প্রেস সচিব।

তিনি আরো বলেন, আমরা স্বাধীন জার্নালিজমে বিশ্বাস করি। ড. ইউনূস নিজে বলেছেন, দরকার হলে আমাদের নিয়েও লেখেন। আপনারা লেখেন, আমাদের ভুলত্রুটি না ধরায় দিলে জানব কী করে। এপাশ-ওপাশ দেখানোর দায়িত্ব সংবাদমাধ্যমের। আপনি জাস্ট সাংবাদিকতা করেন, যেটা এথিক্যাল জার্নালিজম, যাতে কোনো লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সজ্ঞানে করবেন না অজ্ঞানেও যেন না করেন।
মিডিয়া কমিশন গঠন করা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আপনারা দেখেন তাদের কাজ কি। সবার সাথে বসে আমরা একটা প্রেস ফ্রিডম গড়তে চাই। যেখানে কোনো অবস্ট্যাকল যেন না থাকে। যেই মালিকই আসুক না কেন, তারা যেন আপনার মুখটাকে বন্ধ না করে।


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসের সাথে চুক্তি চায় ৭২ শতাংশ ইসরাইলি গাজার উত্তরের সর্বশেষ অর্থোপেডিক সার্জন নিহত মালয়েশিয়ায় বাধ্য শ্রমের অভিযোগ : মামলার অনুমতি পেল বাংলাদেশী শ্রমিকরা বিজয় দিবসে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি ইসলামি শ্রমনীতি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে : মুহাম্মদ শাহাজাহান অভিবাসী ফেরত না নিলে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি ট্রাম্পের খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘শেখ হাসিনা আবার আসবে’ ঘূর্ণিঝড় চিডোর কারণে ফ্রান্সের মায়োটে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা মুক্তিযোদ্ধা দলের মহাসমাবেশে যোগ দেবেন খালেদা জিয়া একই দিনে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে

সকল