রাজনীতির আঁতুড়ঘর হলো ঢাবির ১৮টি হল : ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনকে ছাত্র রাজনীতির আঁতুড়ঘর বলা হয়। কিন্তু আমি মনে করি, মধুর ক্যান্টিন ছাত্র রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র, আর জাতীয় রাজনীতি কিংবা ছাত্র রাজনীতির আঁতুড়ঘর হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি এবং মেয়েদের পাঁচটি হল। ছাত্র রাজনীতি সুশৃঙ্খলভাবে হলগুলোতে বজায় থাকলে ঢাবির নাম যুগ যুগ ধরে ইতিহাসে লেখা থাকবে।
গতকাল বিকেলে ঢাবির টিএসসি পায়রা চত্বরে ‘একাত্তরের মেধা নিধন : ইতিহাসের ক্ষত ও বুদ্ধিবৃত্তিক পুনর্গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি চাই না বলে বয়ান তুলছে অনেকে। ছাত্র রাজনীতি চাই না বলে বিভিন্ন ব্যানার তুলেছিল, পরবর্তী দেখা গেল তারা বিশেষ গোষ্ঠীর। আমি হলপাড়ার ভাইবোনদের অনুরোধ করে বলতে চাই, আপনারা অবশ্যই আপনাদের যৌক্তিক মতামত প্রচার করবেন। কিন্তু যেকোনো ব্যানারে মিছিলে যাওয়ার আগে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী হিসেবে সচেতনতার সাথে খেয়াল করে দেখবেন, ব্যানারটি কার প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে কি না? আমি বিশ্বাস করি ছাত্রদল বামের ডানে, ডানের বামে। আমরা মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি আরো বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অনেকের মিডিয়াতে ফেসভ্যালু বেড়ে গেছে দেখে মনে করে অনেক কিছু করে ফেলেছে। ছাত্রদলের ১৫৩ জন শহীদ হয়েছেন। মেট্রোরেল মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছিল আমাকে। আমাদের চার-চারজন নেতাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে হামলা-মামলা গুম-খুন, ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সৃষ্টি করেছে তার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে ৫ আগস্ট। আপনারা-আমরা সবাই মিলে আন্দোলন করেছি। আপনারা নেতৃত্ব যেমন দিয়েছেন, আমরা সেই নেতৃত্ব বেগবান করেছি। তাই একক কোনো কৃতিত্ব নয়।
সভায় ঢাবি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাউসার বলেন, সবচেয়ে বেশি বিকৃতির শিকার হয়েছে ইতিহাস। রাষ্ট্রে গণতন্ত্র না থাকলে এটি সমাজ সংস্কৃতি ইতিহাসে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১৫ বছর ইতিহাস বিকৃতির নানা ঘটনা ঘটেছে। ইতিহাসের বয়ানকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ইতিহাসকে আদালতের বিষয় বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। সভায় আরো বক্তব্য দেন ছাত্রদল নেতা আমানউল্লাহ আমান, নাসির উদ্দিন শাওন, আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা