বিশ্বজুড়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা চলছে
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘ ও বিশ্ব নারী আন্দোলনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করা হয়। এ উপলক্ষে নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী মমতাজ মাননান এবং সেক্রেটারি নাজমুন নাহার যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা নতুন কিছু নয়। পৃথিবীর ইতিহাসের শুরু থেকেই নারীরা নানা রকমের সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন। নারীর প্রতি পুরুষের হীন মানসিকতার কারণে জাহেলি যুগের মতো আধুনিক নব্য জাহিলিয়াতেও স্বাধীনতার নামে নারী ভোগ্য পণ্যের মতোই রয়ে গেছে। কন্যাশিশুর নেই নিরাপত্তা। নারী-ভ্রুণ হত্যা থেকে শুরু হয় এই সহিংসতার ধারাবাহিকতা। ধর্ষণ, পাচার, অ্যাসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, পণ্যতুল্য ব্যবহার, কর্মস্থল ও রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্তকরণসহ নানাভাবে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানাভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা চলছে।
এক দিকে নারীর অবস্থার উন্নয়নকল্পে ঘটা করে পালন করা হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি, নেয়া হচ্ছে চটকদার সে্লাগান। নারী নির্যাতন প্রতিরোধের পক্ষকালে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবারের স্লোগান ‘নারী-কন্যার সুরক্ষা করি সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি।’ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাজে নারী নিগ্রহ, নারীর প্রতি সহিংস আচরণ তথা নারীর অকল্যাণ দূর হয়নি। বরং ক্রমান্বয়ে নারীর অবস্থা ও অবস্থান ধুসর হচ্ছে। তাই আমাদের গভীরভাবে তলিয়ে দেখা প্রয়োজন কিভাবে এ থেকে উত্তরণ সম্ভব এবং নারীদের সামাজিক সুরক্ষা দেয়া যায়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশে প্রচলিত নারীনির্যাতন বিরোধী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে এ থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। আজ ইসলামে মানবিক মূল্যবোধের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবনের সময় এসেছে। নারীর প্রতি পুরুষের যে হীন মানসিকতা ইসলাম তা সংশোধন করেছে। ইসলাম যেকোনো মানুষের মর্যাদা ও অধিকারকে সম্মান করে, সে নারীই হোক বা পুরুষ। ইসলাম নারীকে দিয়েছে সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার। দিয়েছে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বলয়। রাসূল সা: বলেন, একজন মুসলমানের কাছে অন্য মুসলমানের জীবন, সম্মান ও সম্পদ অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। (সহিহ মুসলিম)।
তবে ইসলাম নানাভাবে নারীদেরকে সম্মান দিলেও এই সমাজব্যবস্থা জাহেলি যুগের মতো নারীকে অবজ্ঞা ও অবহেলার পাত্র বানিয়ে রেখেছে। তাই মানুষের চেতনায় ইসলামী যে মূল্যবোধ রয়েছে, তাকে জাগ্রত করা এবং ইসলামী বিধিবিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী নিগ্রহ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। ইসলামে রয়েছে নারী ও পুরুষের ন্যায্য অধিকার। তাই নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার বিকল্প নেই। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা