গাজীপুরে মাহবুব শিল্প কারখানায় সন্ত্রাসী হামলা : অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
- গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি
- ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর বারেন্ডা এলাকায় গত ২১ নভেম্বর মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্রজেন ফুড লিমিটেড কারখানায় একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট করে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানায় মামলা হয়। মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে আসামিপক্ষ গত মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে একটি মানবন্ধনের আয়োজন করে কোম্পানির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আসামিপক্ষের এই অপপ্রচারের প্রতিবাদে গতকাল গাজীপুরে কোম্পানির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হয়।
গাজীপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসনিক প্রধান মো: জিয়াউর রহমান বলেন, এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মালেক মালুর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গত ২১ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় কাশিমপুর বারেন্ডা এলাকায় মাহবুব গ্রুপের ফ্রজেন ফুড লিমিটেডে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে কোম্পানির প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয় এবং হামলাকারীরা নগদ দুই লাখ টাকাসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। বাধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কোম্পানির সিকিউরিটি অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমসহ অন্তত ১১ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কাশিমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আসামিরা অপরাধ ঢাকার জন্য এবং ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য গত মঙ্গলবার কোম্পানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে অপপ্রচার চলায়।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জিয়াউর রহমান বলেন, সন্ত্রাসী মালেক মালু অপরাধ নির্বিঘœ করতে তার বাহিনীর কয়েক সদস্যকে ‘সাংবাদিক’ বানিয়েছে। এরা বিভিন্ন অখ্যাত-অপরিচিত পত্রিকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। কোথাও জমি সংক্রান্ত ঝামেলা হলে এরা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে কোনো এক পক্ষ নিয়ে অনৈতিক হস্তক্ষেপ করে। মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের একটি জমি নিয়ে গাজীপুরের দেওয়ানি আদালতে মামলা চলমান। ওই জমির বিরোধ নিয়ে মালেক মালু তার কথিত ‘সাংবাদিক বাহিনী’ নিয়ে কোম্পানিতে গিয়ে হামলা চালায়। মামলার যেসব আসামি ‘সাংবাদিক’ বলে দাবি করছে এরা প্রকৃত সাংবাদিক না। এরা ঘটনার দায় থেকে বাঁচতে নিজেদেরকে এখন ‘সাংবাদিক’ বলে দাবি করছে। তিনি এ ঘটনায় গাজীপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি জানান।
সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে জিয়াউর রহমান বলেন, বিগত সরকারের সময় চক্রটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় আমাদেরকে বিএনপি-জামায়াতের দোসর বলে অপপ্রচার চালাতো, এখন আবার তারাই আমাদের আওয়ামী সন্ত্রাসী বলে অপপ্রচারে লিপ্ত। এমনকি থানা পুলিশ তদন্তপূর্বক মামলা রেকর্ড করায় কশিমপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও চক্রটি নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসী হামলায় কোম্পানির আহত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা মহান সাংবাদিকতা পেশার মানমর্যাদা এবং এলাকাবাসীকে রক্ষায় এসব নামধারী ও ভুয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, আমাদের কোম্পানি টানা ৭ বার গাজীপুর জেলা ও মহানগরীর সর্বোচ্চ করদাতার স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মাহবুবুর রহমান ২০২০-২১ সনের সিআইপি নির্বাচিত হন এবং ব্যক্তিগত ট্যাক্সকার্ডে তিনি দেশের চতুর্থ সেরা করদাতা। আমরা সরকার ঘোষিত ডেইরি আইকন এবং মনোসেক্স তেলাপিয়া উৎপাদনে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। আমাদের প্রতিষ্ঠিত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় দুই সহ¯্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় দীর্ঘদিন ধরে কুচক্রী মহলটি অসৎ উদ্দেশ্যে মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিশ্বাস পোলট্রি, অ্যাগ্রোটেক সয়া ইন্ডাস্ট্রিজ এবং দেওয়ান মোজাম্মেল হকদের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা