সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়াচ্ছে ইসকন : মামুনুল হক

ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরের মূর্তিতে অগ্নিসংযোগের মিথ্যা অজুহাতে দুই সহোদরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হলে চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে এভাবে উগ্রবাদীদের হাতে প্রাণ দিতে হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক।
গতকাল বিকেলে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের শহর ক্যাম্পাসের মাঠে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করে বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে ইসকন। চট্টগ্রামে তারা একজন আইনজীবীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে। সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়িয়ে অরাজকতা সৃষ্টিই তাদের লক্ষ্য। ইসকনের এই উসকানিতে কেউ পা দেবেন না। এ জন্য দেশবাসী সবাই সজাগ থাকবেন। তিনি ইসকনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করারও জোর দাবি জানান।
মামুনুল হক তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালে এদেশের আলেম-ওলামা ও ইসলামী তাওহিদি জনতার ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে নিষ্পেষিত করেছে। ইসলামী জনতা ও আলেমসমাজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের হাতে। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর লাখ লাখ গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। রাতের আঁধারে নির্যাতন করা হয়েছিল। তবে আগামীতে আলেমসমাজ ক্ষমতায় গেলে তারা শেখ হাসিনার মতো দানব সরকার হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ইসকনের বিরুদ্ধে বারবার কথা বলেছি, সতর্ক করেছি। তবুও সরকার সজাগ হয়নি। তাই এবার সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক। যদি আদালত নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আলেমসমাজই ইসকনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করে পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছিল। শেখ হাসিনা রাজনীতি শুরু করেছিল দেশকে শেষ করে দেয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘ত্রিশ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুর কাজ দেখিয়ে বিশ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। এরকম বড় বড় মেগা প্রকল্প থেকে দুই-তিনগুণ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখন ইসকনকে লেলিয়ে দিয়ে দেশে দাঙ্গা সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে তারা।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা শাইখুল হাদিস আল্লামা শাহ্ আকরাম আলী, অপর উপদেষ্টা শাইখুল হাদিস আল্লামা হেলালুদ্দীন সাহেব ও উপদেষ্টা শাইখুল হাদিস আল্লামা আবুল হুসাইন।