‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান’র ১৮ জন কারাগারে ১২০০ জনকে আসামি করে মামলা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮
বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণ দেয়ার প্রলোভনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ও অন্যতম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি ও সংগঠনের আহ্বায়ক এ বি এম মোস্তফা পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের সমর্থক সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ (৪৭), মো: মেহেদী হাসান (৩৪), অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ-এর নেত্রকোনার আহ্বায়ক মো: রাহাত ইমাম নোমান (৩৩), মো: মাসুদ (৩৭), ইব্রাহিম (২৯), মো: আলেক ফরাজী (৪৪), মো: সাইফুল ইসলাম (৪৮), মো: আবু বক্কর (৪৯), মো: রিংকু (২১), মো: নিজাম উদ্দিন (৩২), সৈয়দ হারুন অর রশিদ (৬০), মো: আফজাল মণ্ডল (৪২), আব্দুর রহিম (৩০), নুরনবী (৪৫), মো: শহিদ (২৮) ও মোছা: কোহিনূর আক্তার (৫০)। এর আগে গত সোমবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই রাতেই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এর পর মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
সংগঠনটি সারা দেশের খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোকে টার্গেট করে। এর পর তাদের বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে সেগুলো বিনা সুদে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। পরিকল্পনা ছিল সোমবার তারা শাহবাগ দখলে নিয়ে সমাবেশ করবে। তবে গোয়েন্দা তথ্য ছিল ‘মিথ্যা আশ্বাসে জনগণকে ঢাকায় এনে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে’। এর পরই সজাগ দৃষ্টি রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। রোববার রাত থেকেই বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করতে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। এ জন্য তাদের গাড়ি ভাড়া, খাওয়া-দাওয়াসহ কিছু টাকা অগ্রিমও দেয়া হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ থানায় এসআই হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ১৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১২০০ জনকে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামের ব্যানারে আসামিরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য সাধারণ জনগণকে বিনা সুদে ঋণ দেয়ার কথা বলে শাহবাগ মোড়ে জমায়েত হয়। আসামিরা শাহবাগ মোড়ে থাকা ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভেঙে আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।