চট্টগ্রামে অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে শতাধিক মার্কেট
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২
চট্টগ্রামে শতাধিক মার্কেট ও কয়েকটি জনবহুল এলাকা অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যায়। প্রতি বছর নগরীর কোনো না কোনো মার্কেটে ঘটে চলেছে অগ্নি দুর্ঘটনা। গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় সমবায় মার্কেটে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষতি হয়। মারা যান এক ব্যক্তি। একই বছরের ১২ জানুয়ারি রেয়াজউদ্দিন বাজারের নূপুর মাকের্টে আগুন লাগে। চৌধুরী প্লাজা, হোটেল সফিনা, জহুর হকার মাকের্টে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। চলতি বছরে ষোলশহর কর্ণফুলী মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে বেশ কয়েকটি মার্কেটে চলতি বছরে আগুনের ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের আঞ্চলিক অফিসের দেয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রামে অন্তত ৪৫ মার্কেটে ও ১০টি বাজার আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে। মার্কেটগুলো তৈরি হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। তা ছাড়া অনেক পুরাতন কিছু ভবন রয়েছে, সেগুলোর কোনো মেয়াদ নেই এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনগুলো ভাঙার জন্য সিডিএকে যে নোটিশ করা হয়েছিল তা কখনেই আলোর মুখ দেখেনি।
পরিবেশবিদরা এ ব্যাপারে বারবার সিডিএ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদফতরে তাগাদা দিলেও কার্যত এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি এ তালিকা অনুসারে কার্যকরী পদপে গ্রহণ করেননি।
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকার গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এ দিকে নগরীর রাজাখালী এলাকার ফাইভস্টার গলির মুখে বহু আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ মোহাম্মদ মিয়ার চার তলার ভবনের নিচতলায় সেমাই কারখানার তাপের কারনে ভবনের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভবনটির বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় রাজাখালী ফায়ার সর্ভিসের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ভবনটি বেশ জারজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ভবন মালিককে বেশ কয়েকবার নোটিশে ভবন ভাঙার তাগিদ দিয়েছি। তা ছাড়া এ এলাকায় অন্যান্য ব্যবসা ও আবাসিক এলাকা থাকার কারণে সেমাই কারখানা সরিয়ে নিতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সিডিএ, পরিবেশ অধিদফতর এবং জেলা প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে কয়েকবার অভিযোগ দিয়েও কার্যত ফল আসেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা