ইবিতে জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
- ইবি সংবাদদাতা
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গত রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মাওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইবি থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: জাকির হুসাইন, অধ্যাপক ড. মো: ময়নুল হক ও অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলাম, আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ. বি. এম. জাকির হোসেন, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম, সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক এরশাদ উল্লাহ ভূঁইয়া, মোস্তফা তারিকুল হাসান, অধ্যাপক মাওলানা এ এম এম কামাল উদ্দিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা কাজী আবু বকর ও মো: জহিরুল ইসলাম।
আসাদুল্লাহ গালিব এবং শামীম হাওলাদারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট। এছাড়াও তালাবার সাবেক নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম সায়েম, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ বিলু, হাফেজ মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মোস্তফা আল মুজাহিদসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের হয় এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে দীর্ঘ আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। সেই আন্দোলনে ছাত্র সংগঠন হিসেবে জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে গঠিত হলেও সেটা উপেক্ষিত। বর্তমানে ইসলামী শিক্ষা ও মাদরাসা শিক্ষা হুমকির মুখে। তাই ইসলামী শিক্ষার বিস্তারে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। প্রধান অতিথি আরো বলেন, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে ১০০ নম্বরের ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আর ডাক্তারি শিক্ষাকে ইসলামী করার জন্য ইসলামী পাঁচটি কোর্স চালু করলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইসলামায়ন হবে এবং কোনো ডাক্তার নৈতিকতা বর্জিত বা গলাকাটা হবে না। কোর্সগুলো হচ্ছে, আল-কুরআন ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, হাদীসের আলোকে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ইসলামী হুকুম আহকাম ইবাদতে স্বাস্থ্য পরিচর্চার উপাদান, মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সিনা আশরাজি প্রমুখের অবদান ইত্যাদি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা