উখিয়ার সীমান্তে ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
- উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবার গন্ধ রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। গত ৩ মাসে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের তৎপরতা নেই বলা চলে। র্যাব কিছুটা ভূমিকা রাখলেও ৩ মাসের ব্যবধানে মাদকবিরোধী অভিযানে বিজিবি অনেকটা উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে বিজিবি উখিয়ার ফারিরবিল সীমান্ত এলাকা থেকে ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) পালংখালী বিওপির টহলদল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সম হয়েছে। মাদক কারবারিদের শনাক্তকরণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
পরিবর্তিত বাংলাদেশে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জনতার আস্থা হারিয়েছে পুলিশ। ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে কার্যত ইয়াবা জোগানের প্রধান মোকাম উখিয়া ও টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযান অনেকটা থমকে আছে। এ সুযোগে পালিয়ে থাকা বড় বড় ইয়াবা কারবারিরা স্ব মূর্তিতে এলাকায় ফিরে এসে প্রকাশ্যে ফের এ কারবারের নিয়ন্ত্রণ কব্জায় নিয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক শক্তিশালী হয়ে ওঠা ইয়াবা কারবারি চক্রটি বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারাই মূলত ইয়াবার বিস্তার করছে বাংলাদেশে। প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো রোহিঙ্গা ইয়াবা ও অস্ত্রসহ প্রশাসনের কাছে ধরা পড়ছে। উখিয়া-টেকনাফের বিশাল পাহাড়ি এলাকাজুড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প হওয়ায় সহজেই ধরা পড়েনা ইয়াবা মজুদকারী ও কারবারিরা। তবে কিছু পাচারকারী ও কারবারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও অধরায় রয়ে গেছে রাঘববোয়ালরা। এ কারণেই বন্ধ হচ্ছেনা ইয়াবা কারবার এমনটা জানিয়েছেন সচেতনমহল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সেনা নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার আগে সেখানে রোহিঙ্গাদের অনেকেই ছিলেন ইয়াবা ডন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসার পর কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে তাদের সেই সিন্ডিকেট ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ইয়াবা (মাদকের) ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ৩৪টি ক্যাম্পে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রির চিহ্নিত আখড়া আছে পাঁচ শতাধিক। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরেও রোহিঙ্গারা ইয়াবা বহন করছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুই দেশের একাধিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এদের নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে।
উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইয়াবা পাচারের সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের চিহ্নিত সিন্ডিকেটগুলোও তাদের আশ্রয়দাতা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। তাদের কারণে ইয়াবার আগ্রাসন প্রতিটি ঘরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। নষ্ট হয়ে পড়েছে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় শান্তি শৃঙ্খলা।