২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জাবিতে গণ-অভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা সভায় অতিথিরা : নয়া দিগন্ত -

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘নবীন চোখে গণ-অভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা ও বিপ্লবী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এ আয়োজন করা হয়। ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, উপস্থাপক ও আইনজীবী মানজুর আল মতিন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাবির বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা লাকি, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: লুৎফুল এলাহী এবং পরিবেশ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন রুনু। এ ছাড়াও প্রোভিসি (শিক্ষা ও প্রশাসন), প্রক্টর ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ পরিবার থেকে বক্তব্যে শহীদ ইয়ামিনের বাবা ২৪ এর শহীদদের ‘বিপ্লবী যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি শহীদদের কোনো ভাস্কর্য বা ম্যুরাল নির্মাণের পরিবর্তে তাদের নাম-স্মৃতিমূলক ডিজিটাল বোর্ড স্থাপনের দাবি জানান এবং শহীদ আলিফের বাবা বিতর্কিত উপদেষ্টা নিয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের পরিবর্তে যোগ্য ও দক্ষ উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি জানান।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা একটি ভঙ্গুর অবস্থায় দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, যেখানে দেশের অর্থনীতি ছিল বিপর্যস্ত। গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য আমরা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রস্তুত করেছি। দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা সম্ভব না হলে, তাদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। তবে এতে পাসপোর্টসহ কিছু প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে, যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। একই সাথে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে।
ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ২৪-এর চেতনা কোনো একক গোষ্ঠীর নয়, এটি সবার। বৈচিত্র্যের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে এই চেতনাকে দুর্বল করা যাবে না। আমাদের প্রয়োজন মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরি করা, যারা দেশপ্রেম এবং মানবিকতার মিশ্রণে কাজ করবে। গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারে নারী নেতৃত্বের ভূমিকা বাড়ানো উচিত।

 


আরো সংবাদ



premium cement