জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন পরিহার করল চবি
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৩
৫৯তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দিবস ছিল গতকাল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া চবির ২ শিক্ষার্থীর কথা স্মরণ রেখে খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন পরিহার করেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে নানাভাবে দিবসটি পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় চবির জিরো পয়েন্ট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা, সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে কেক কাটা এবং বেলা ১১টা ১৫ মিনিট থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ভোজের ব্যবস্থা আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে হলের এই উন্নত ভোজ উপভোগ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন থেকে তাদের যাবতীয় ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন। গতকালের আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এর আগে গত রোববার চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আয়োজন সম্পর্কে এমন অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছিলেন তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক অধ্যাপক ড. শহীদুল হক।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ছাত্র শহীদ হয়েছেন। এ ছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের রক্ত এখনো শুকায়নি। তাই শহীদদের এই আত্মত্যাগের কথা চিন্তা করে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থার দিকে তাকিয়ে আমরা এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, ৫৮ পেরিয়ে ৫৯ বছরে পদার্পণ করেছে আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজ পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা এ বিশ^বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাটল ট্রেনেও বেড়েছে ভিড়। তাই, সম্প্রতি নতুন দুটি ট্রেন যুক্ত করেছে চবি কর্তৃপক্ষ। চারটি বিভাগ, সাতজন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট, ৯২০ জন শিক্ষক ও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ১৪টি আবাসিক হল ও একটি ছাত্রাবাস।