রাজধানীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রবাসী ডাক্তারসহ ২ জন নিহত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাসায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এ কে এম আব্দুর রশিদ (৮৫) নামের একজন প্রবাসী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। অপর দিকে হাজারীবাগে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি-১৫ নম্বর এলাকায় পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় ঢুকে ডা: আব্দুর রশিদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তবে বাসা থেকে কোনো কিছু খেয়া যায়নি। এটি ডাকাতি নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাজারীবাগ থানাধীন ধানমন্ডি ১৫-এর ২৯৪/১ নিজস্ব ভবনের পঞ্চম তলার দ্বিতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন লন্ডন প্রবাসী ডা: রশিদ। ওই ভবনের মালিক তিনিই। তার পুরো পরিবারই লন্ডনে থাকে। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে দেশে আসেন। আবার ডিসেম্বরে চলে যান। বাকি ফ্লোরগুলো ভাড়া দেয়া।
আব্দুর রশিদকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শিক্ষার্থী বাঁধন বলেন, গভীর রাতে চিৎকার শুনে তারা বাইরে বের হন। এরপর পাশের ভবনের নিচে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থা বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখি। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আব্দুর রশিদকে মৃত বলে জানান।
বাঁধন বলেন, কী হয়েছিল আমরা দেখিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে বাইরে থেকে চোর বাসায় ঢুকেছিল। ওই বাসায় তারা স্বামী-স্ত্রী থাকেন। ঘটনার সময় আব্দুর রশিদের চিৎকারে আশপাশের সবাই টের পান। পরে সবাই চিৎকার শুরু করলে অপরাধীরা আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
হাজারীবাগ থানার ওসি মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, নিজস্ব বাড়ির দোতলায় থাকতেন আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী। তারা দুইজনই ডাক্তার। গতকাল রাত ৩টার দিকে আব্দুর রশিদ দরজা খোলা রেখে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ছিলেন। তখন বাসায় ঢুকে পড়ে তিন যুবক। পরে তাদের সাথে স্বামী-স্ত্রীর ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে চোররা আব্দুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ভিকটিমের বাসা থেকে কোনো কিছু খোয়া যায়নি। ওই বাড়ি ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে তিনজনকে দেখা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা যাচ্ছে। আসলে ঘটনাটা কি চুরির নাকি পরিল্পিত কোনো ঘটনা সে ব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পাওয়া ওই তিন ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি। ওসি বলেন, আব্দুর রশিদের স্ত্রী ভালো আছেন, তার শরীরে কোনো আঘাতে চিহ্ন নেই এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাননি বলেও জানান ওসি।
এ দিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে হাজারীবাগ পার্কের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় শান্ত। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৃত্যু তার।
নিহতের বাবা আফজাল বলেন, স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ-ছয় সদস্য শান্তকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মধ্যরাতে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য- ইমন, অলি ও শুকুরকে আটক করেছে। তবে কী কারণে তার ছেলেকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা