ঢাবির সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে পুনঃগঠনের দাবি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সদস্যদের নিয়ে এখনো বসছে সভা। এ কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিন্ডিকেটের মিটিং চলছে, এমন খবরের ভিত্তিতে মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিনেট ভবনে পৌঁছালে হট্টগোল ভেস্তে যায় সিন্ডিকেটের সভা।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রোভিসি (প্রশাসন), প্রক্টর বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ঢাবির সিন্ডিকেট থেকে অনির্বাচিত আওয়ামী লীগের দোসরমুক্ত সিন্ডিকেট দাবি করেন। এমন দাবির প্রেক্ষিতে সুরাহা করার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সিনেট ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, স্বৈরাচারী রেজিমের প্রতিনিধিরা কেন সিন্ডিকেটে রয়েছেন তার প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষার্থীরা এসেছিলেন। তাছাড়া তাদের যে দাবি, এখানে কিছু আইনি বিষয় রয়েছে, সেগুলো কিভাবে সুরাহা করা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেগুলো নিয়ে ভাবছে।
এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে করা পোস্টে ঢাবি সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে ঢাবি শিবির সভাপতি বলেন, আওয়ামী মদদপুষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এখনো ভাঙা হয়নি! শহীদদের রক্তের ওপর কিভাবে নিজাম ভূঁইয়ারা সিন্ডিকেট সভা করতে পারেন? আমাদের চব্বিশের বিপ্লবের প্রতি এক প্রকার কৌতুকের নামান্তর।
সিন্ডিকেট ভাঙার ব্যাপারে প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই প্রশাসনের সাথে ছাত্রসংগঠনের মিটিংয়ে সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি তুলেছি। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনায়ও ছাত্রশিবির আওয়ামী চাটুকারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার কথা উল্লেখ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (শিক্ষা ও প্রশাসন) এবং প্রক্টর মহোদয় এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।
দাবি মেনে না নেয়া হলে রাজপথে তার সমাধান হবে উল্লেখ করে সাদিক কাইয়েম বলেন, আমরা চাই চব্বিশের শহীদদের আকাক্সক্ষা লালন করতে সক্ষম এমন সিন্ডিকেট। তোষামোদি ও দালালবৃত্তির সংস্কৃতি ভেঙে দিয়ে প্রকৃত অর্থেই কাজ করতে সক্ষম এমন সিন্ডিকেট দ্রুততম সময়ের মধ্যে গঠন করতে হবে। অন্যথায় রাজপথে ফয়সালা করতে বাধ্য হবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা