নির্বাচনের ডেটলাইন দিতে এত দ্বিধা কেন : রিজভী
- নোয়াখালী অফিস
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, নির্বাচনের ডেটলাইন দিতে আপনাদের মধ্যে এতো দ্বিধা এতো সংকোচ কেন? গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালীর চেীমুহনী রেলওয়ে ময়দানে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশ উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লা বুলু। বক্তব্য রাখেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, নোয়াখালী জেলা সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রহীম, অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, সদস্য শামীমা বরকত লাকী, চৌমুহনী পৌর সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন এজিএস শামীম প্রমুখ ।
রিজভি বলেন, ৫ আগস্টের চেতনাকে ধারণ করতে পারছেন না তাই আরেক স্বৈরাচারের লোককে আপনারা (সরকার) বসিয়ে রেখেছেন। আপনারা বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসরদের বসিয়ে রেখেছেন। তারা তো আপনাকে ব্যর্থ করবেই। সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন ।
নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ প্রসঙ্গ তিনি বলেন, আপনি আবার নতুন কিছু উপদেষ্টা করেছেন। নতুন উপদেষ্টা করার অধিকার আপনার আছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশীজন যারা তাদের তো একটা অভিমত নেয়া দরকার ছিল। যে মেয়েটি বিতর্কিত শেখ মুজিবের বায়োপিক ছবিতে অভিনয় করেছে, আপনারা তার স্বামীকে উপদেষ্টা বানিয়েছেন।
রিজভীর দুঃখ প্রকাশ
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর বিষয়ে দেয়া বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল মঙ্গলবার দলের সহদফতর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, তিনি মনে করেন, তার (শেখ মুজিবুর রহমান) ছবি নামিয়ে ফেলা উচিত হয়নি। খন্দকার মোশতাক আহমেদ ছবি নামিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন। এর দেড় ঘণ্টা পর বিবৃতিতে সংশোধনী এনে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ দেখে তিনি মনে করেছিলেন, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে, সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।
রিজভী বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালতে দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।”
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা