সূত্রাপুর মৌজার খাজনা বন্ধের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১
পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী, শ্যামপুর, কোতোয়ালি ও এর আশপাশ থানাধীন এলাকাগুলোর এক বিরাট অংশের ৩০ লক্ষাধিক মানুষের বাড়িঘর, জায়গা-জমি ও পৈতৃক সম্পত্তির নামজারি করতে পারছে না। অথচ তাদের এসএ, সিএস, আরএস ও সর্বশেষ সিটি জরিপের পর্চায় তাদের নিজের অথবা বাবা, দাদা বা পৈতৃকদের নামে রেকর্ডও রয়েছে। সরকার খাজনা না নেয়ায় বিগত ১৩ বছর ধরে তারা মহাবিপদে ও ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে ৭০-৮০ বছর পর সাবেক শহর ঢাকা হালে সূত্রাপুর মৌজার ৫৪৮ তৌজির ৩০ লক্ষাধিক মানুষের নিজ নিজ বাড়িঘর, জায়গা জমি ও সম্পত্তিকে অবৈধভাবে খাস মহল ও লিজের নামে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে নামজারি ও খাজনা নেয়া বন্ধ করে রেখেছে। এতে পুরান ঢাকার ৩০ লক্ষাধিক মানুষ তাদের বাড়ি ও জমি এবং পৈতৃক সম্পত্তিগুলোর নামজারি করতে পারছে না, খাজনাও জমা নিচ্ছে না। জমি হস্তান্তর, জমি ক্রয় বিক্রয় ও রেজিস্ট্রি করতে পারছে না। এমনকি পিতা-মাতার মৃত্যুর পর ওয়ারিশরা বাড়িঘরের ভাগাভাগি বা বণ্টননামা, হেবা রেজিস্ট্রিও করতে পারছেন না। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক প্ল্যান পাসও হচ্ছে না। নিজ জমিতে ভবন নির্মাণ করতে পারছেন না এবং ব্যাংক থেকে ঋণও নেয়া যাচ্ছে না। ফলে পুরান ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারও হচ্ছে না এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভূমির নামজারি না করা এবং ভূমি উন্নয়ন কর না নেয়ার কারণে সরকার নিজেও প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০১১ সালের পর থেকে ডেভেলপার কোম্পানিগুলো ঋণ নিয়ে এসব এলাকাতে ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি করেছে এখন তারা ঋণের বোঝায় জর্জরিত। তারা শুধু বিপদে নয়, প্রচুরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষভাবে উল্লেখ থাকে যে, পুরান ঢাকার ৩০ লক্ষাধিক মানুষ তাদের ভূমির খাজনা যুগ যুগ ধরে পরিশোধ করে আসছেন। ২০১১ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-৮ এক পরিপত্র দ্বারা পুরান ঢাকার সূত্রাপুর মৌজার খাজনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ছিল একবারে অবৈধ এবং অমানবিক।
অবিলম্বে সূত্রাপুর মৌজার ভূমি অবমুক্তি করা এবং স্বৈরাচার সরকার কর্তৃক ভূমি মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের জারিকৃত অবৈধ পরিপত্রটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার মাধ্যমে আবার খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর নেয়ার জন্য পুরান ঢাকা নাগরিক কমিটির কর্মকর্তা ও এলাকার ভুক্তভোগী অধিবাসীরা গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শেখ ফজলুর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী, মজিবুর রহমান খান, সাংবাদিক মোহাম্মদ মহসীন ও রেজাউল করিম বাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা