ফতুল্লায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ ৫ গার্মেন্ট ভাঙচুর
শ্রমিকদের পরিকল্পিতভাবে রাস্তায় নামানোর অভিযোগ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:৫০
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন গার্মেন্টে বকেয়া বেতন ও কারখানা লে-অফ (কাজ বন্ধ) পরবর্তী সব পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চার থেকে পাঁচটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কাঁচ ভাঙচুর করেছেন। এতে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ ঢাকা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তৈরি হয়েছে তীব্র যানজটের।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরী শাসনগাঁওয়ে অবস্থিত অবন্তী কালারটেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামেন।
কারখানাটির মালিক আসলাম সানি। তিনি নরসিংদীর বেলাব উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। এ ছাড়া বিকেএমইএর সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।
বিসিকের একাধিক সূত্র জানায়, বকেয়া টাকা না দিয়ে তালবাহানা করে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা আসলাম সানি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে সদর উপজেলার ফতুল্লার শাসনগাও এলাকায় অবস্থিত অবন্তী কালারটেক্সের সামনে কয়েক শ শ্রমিক বকেয়া বেতন ও কারখানা লে-অফ পরবর্তী পাওনা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ-ঢাকা সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা-পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় অবন্তী কালারটেক্সের শ্রমিকরা ওই এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভে আনার চেষ্টা করে। তারা কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কাঁচ ভাঙচুর করেন। শ্রমিক আন্দোলনের কারণে বিসিকের ৩০টি কারখানা সাময়িক ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিসিকের মালিকপক্ষের অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সরিয়ে দেন। তবে দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনকারী কালারটেক্স শ্রমিকরা বিসিকের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছিলেন।
আন্দোলনে আসা কারখানার মেশিন অপারেটর আলামিন বলেন, মালিকপক্ষ আমাদের বকেয়া পরিশোধে টালবাহানা করছে। শ্রমিকরা পাওনা টাকার জন্য আন্দোলন করে এলেও তা পরিশোধ করা হচ্ছে না। আমেনা আক্তার নামে এক শ্রমিক বলেন, পাওনা পরিশোধ করা না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিসিক শিল্পাঞ্চলে ৪৩২টি কারখানা রয়েছে? শ্রমিক অসন্তোষের মুখে অধিকাংশ কারখানায় লাঞ্চের আগেই শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দেয়া হয়?
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আর-ফোর নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক শাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমাদের লাঞ্চ হয় সাড়ে ১২টায়? কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর করায় ভয়ে কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সেলিম বাদশা সোমবার দুপুরে জানান, ক্রোণী ও অবন্তী গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ রয়েছে। এখানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত আছেন, আমাদের পুলিশের ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। সবাই মিলে শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা