ভোক্তা অধিকার পরিষদে বহাল আ’লীগ নেতারা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৪
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পার হলেও জাতীয় ভোক্তা অধিকার পরিষদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার পরিষদের মিটিংয়ের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গত প্রায় ৭ মাসেও মিটিং হয়নি। ৫ আগস্টের পর পরিষদ ভেঙ্গে নতুন পরিষদ গঠনের সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তবে নতুন সরকারের তিন মাসেও পরিষদ গঠন হয়নি।
জানা গেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫ ধারা অনুযায়ী গঠিত হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ভোক্তা অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করে এই পরিষদ। যার মেয়াদ হয় দুই বছর। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পরিষদ পুনর্গঠন করে বাণিজ্য মান্ত্রণালয়।
মোট ৩০ সদস্যের পরিষদে চেয়ারম্যান থাকেন বাণিজ্য মন্ত্রী। সে হিসেবে বর্তমানে চেয়ারম্যান বাণিজ্য উপদেষ্টা। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পদে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন পদাধিকার বলে পরিষদের সদস্য হন। সদস্য সচিবের দায়িত্বে থাকেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বাকি ১০ জন সদস্য সরকার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মনোনিত করেন।
সর্বশেষ গঠিত পরিষদে সদস্য হিসেবে মনোনিত করা হয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস, জাতীয় কৃষক লীগ সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, সাবেক সচিব মোঃ আব্দুল মালেক মিয়া, মনোয়ারা হাকি আলী, প্রীতি চক্রবর্তী, শেক কবীর হোসেন ও হেলাল উদ্দিন। এর মধ্যে বেশিরভাগই সরাসরি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতা।
জানা গেছে, পরিষদ ভেঙ্গে নতুন পরিষদ গঠনের জন্য প্রায় দুই মাস আগে নির্দেশনা দিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন। পরে নামের প্রস্তাবনা চেয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরে চিঠি দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাসরিন সুলতানা। কিন্তু প্রায় দুই মাস হয়ে গেলেও সেই চিঠির জবাব আটকে রেখেছে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ফলে পরিষদও পুনর্গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন উপসচিব নাসরিন সুলতানা।
এ বিষয়ে জানতে বাণিজ্য সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আলীম আখতার খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা