কক্সবাজারে হোটেল থেকে ১৮ ইউপি সদস্য গ্রেফতার
- কক্সবাজার অফিস
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯
কক্সবাজার শহরে জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভার আড়ালে মূলত বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টায় জড়িত থাকার সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তবে দিনশেষে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার রাত ১২টার পর সরকারবিরোধী গোপন বৈঠকের খবরে কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল ইউনি রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে ১৮ জন ইউপি মেম্বারকে (সদস্য) পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল আয়োজকরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ইউপি সদস্যদের সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তবে বিগত দেড় দশকেরও বেশি সময়ে এ জাতীয় একটি সমাবেশও করেনি তারা। অথচ বর্তমান কঠিন সময়ে তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমেছে। এ সভার আয়োজক মূলত ১০ থেকে ১২ জন, যারা সবাই আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুক্রবারের ওই সভায় যোগ দেয়ার জন্য সবাইকে ফোন করেছেন রামু উপজেলার চাকমারকূল ইউনিয়নের মেম্বার মো: ছৈয়দ নূর এবং কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের নাছির উদ্দিন। তারা সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। দু’জনই সাবেক এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের ডান হাত হিসেবে কাজ করেছে বিগত দিনে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তাদের পালাতে সুযোগ দেয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সভায় ব্যবহৃত ব্যানারে লেখা হয়েছে ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্র সংস্কার’ ইত্যাদি প্রশ্নবিদ্ধ দাবি। যারা অতিথি হয়ে এসেছিলেন তাদের একজন ১৪ দলীয় এবং গণ আজাদী লীগ নেতা আতা উল্লাহ আতা খাঁন। তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার দেশ-বিদেশে সফরে সঙ্গী ছিলেন। অন্য অতিথিদের ব্যাপারেও ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে সভাটি সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে ছাত্র সমন্বয়কারীসহ সব মহলে চাউর হয়েছে। গতকাল সারাদিন কক্সবাজারে এটি ছিল টক অব দ্য টাউন।
সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি ফয়জুল আজীম নোমান জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা জেলার বিভিন্ন স্থানের হওয়ায় তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে সময় লাগছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে তোলার বাধ্যবাধকতা থাকায় ৫৪ ধারায় আদালতে হাজির করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবার হেফাজতে আনা হবে। অন্য তিনজন মামলার আসামি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা