কেরুর ৮৫ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯
মদ বিক্রিতে এবার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডে ৮৫ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা অর্জন হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতাধীন এ কোম্পানি আগের বছরের তুলনায় ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, শুধু ডিস্টিলারি ব্যবসা থেকেই প্রায় ১৫০ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে কেরুর। তবে চিনি ইউনিটে প্রায় ৬০ কোটি টাকা লোকসানের কারণে মোট মুনাফা কমে ১০০ কোটি টাকার নিচে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানির রাজস্ব গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমে এ বছর ১৩০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।
কেরু কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রাব্বিক হাসান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর কড়াকড়ির কারণে বিদেশী মদের আমদানি কমেছে। তাই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মদের চাহিদা বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ২০২১ সালে বিদেশী মদ আমদানির ওপর কঠোর নজরদারি শুরু করে এনবিআর। যার ফলে সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত হয় এবং বিদেশী মদের আমদানি হ্রাস পায়। এ পরিস্থিতিতে কেরুর মদ বিক্রি বেড়ে যায়। কেরুর ডিস্টিলারি ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, চলতি ২০২৪ সালের জুন নাগাদ কেরুর স্পিরিট এবং অ্যালকোহল উৎপাদন সামান্য বেড়ে ৬০ লাখ প্রুফ লিটারে পৌঁছেছে। ২০২৩ অর্থবছরে যা ছিল ৫৯ লাখের কিছুটা বেশি। ‘প্রুফ’ শব্দটি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের মধ্যে অ্যালকোহল উপাদানের পরিমাণ বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, যাত্রা শুরুর পর থেকে এত পরিমাণ লাভের মুখ দেখেনি কেরু। গত কয়েক বছরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মদের উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, করপোরেট ট্যাক্সের আগে কোম্পানির মুনাফা ১১৫ কোটি টাকার বেশি ছিল। তবে ট্যাক্সের পরে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি টাকায়। আগের অর্থবছরে এই মুনাফা ছিল ৬৪ কোটি টাকা। তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে, গণ-অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে কেরুর স্পিরিট এবং অ্যালকোহল উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে চাহিদা মেটাতে বর্তমানে ডিস্টিলারি ইউনিট সম্পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করছে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির প্রধান পণ্য চিনি হলেও আখ থেকে চিনি নিষ্কাশন করার পর অন্যান্য উপকরণও (বাই-প্রোডাক্ট) উৎপাদন করা হয়। যেমন- মদ, ভিনেগার, স্পিরিট এবং জৈব সার।
প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় মদ, পরিশোধিত স্পিরিট এবং বিকৃত স্পিরিট উৎপাদন করে থাকে। পাশাপাশি দুই প্রকার ভিনেগার- মল্ট ভিনেগার এবং সাদা ভিনেগারও তৈরি করে। কেরুর কারখানাগুলোর সম্মিলিত বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১ দশমিক ৩৫ কোটি প্রুফ লিটার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা