২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘সরকার চায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিরাপদ হোক’

-


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সরকার চায়, দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিরাপদ হোক। ক্যাম্পাসগুলোতে যেন আর কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী তৈরি না হয়, সে জন্য আমরা কাজ করছি।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই আয়োজিত ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে যে সন্ত্রাসী কাজ-কর্ম করেছে, সেটা দৃশ্যমান কার্যক্রম। আমাদের সরকার বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ রাখবে। আশা করি, সামনে সরকারে যারা আসবে তারাও কাজ করবে।’ তিনি বলেন, ‘এক মহৎ আন্দোলন ক্যাম্পাস থেকে শুরু হলো। এ রকম আন্দোলন এর আগে তেমন একটা হয়নি। এর যে ব্যাপ্তি তা ধারণার বাইরে। এ আন্দোলনের বিপক্ষে ছিল ছাত্রলীগ। তারা ফ্যাসিবাদের বয়ান তৈরি করেছে। অনেকে ছাত্রলীগ করত যে, সে একটা চাকরি পাবে। আমার চোখের সামনে গ্রামের যে ছেলেটা ছাত্রলীগ করে তার চাকরি হয়েছে। কিন্তু যে ছেলেটা পড়ুয়া ও জ্ঞানী তার চাকরি হয়নি। ছাত্রলীগের কর্মীদের চাকরি হয়েছে পুলিশে, চাকরি হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থায়।’
বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে হলে, শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয় আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনকে আমরা কিভাবে নিরাপদ করব, কী করলে আরেকটা ছাত্রলীগ এ দেশে তৈরি হবে না সে ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।’
সেমিনারে একতার বাংলাদেশের আহ্বায়ক প্লাবন তারিক বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগ অনেক অত্যাচার করেছে। এখন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। আমরা আমাদের নতুন বাংলাদেশকে নিরাপদে রাখতে চাই। আমরা সামনের দিকে কোনো ধরনের ভায়োলেন্স চাই না। এই বিপ্লব হয়েছে দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য।’

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জহিরুল ইসলাম বাবর বলেন, ‘বাংলাদেশ হওয়ার পর থেকেই ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনগুলো দ্বারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটেছে। বিশেষ করে ছাত্রলীগ বিগত সময় ধরে একচ্ছত্রভাবে ক্ষমতায় ছিল। সে জন্য তারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস কায়েম করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্র রাজনীতি চায় না। ছাত্রদের ভেতরে ট্রমা কাজ করছে। আন্ডারগ্রাউন্ড ছাত্র সংগঠনগুলোও এখন প্রকাশ্যে এসেছে। ছাত্র সংগঠনগুলো কিভাবে ক্যাম্পাসে কাজ করবে সে বিষয়ে তাদের ভাবধারা প্রকাশ করা প্রয়োজন।’
সেমিনারে ‘ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস সন্ত্রাস : ছাত্র রাজনীতির অন্ধকারাচ্ছন্ন এক যুগ’ নামে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির পিএইচডি স্কলার শাহাদাৎ স্বাধীন।

 


আরো সংবাদ



premium cement