হিন্দুদের ওপর হামলা ধর্মীয় নয় রাজনৈতিক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১১
সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার সুরক্ষায় দরকার রাজনৈতিক সমঝোতা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলায় ধর্মীয় কারণের চেয়ে রাজনৈতিক কারণটাই মুখ্য। হামলার পেছনে এটা একটি রাজনৈতিক প্রচারণা। এই প্রচারণা করছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। ভারতের পত্র-পত্রিকার একটা অংশ করছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। এখানে একটা রাজনীতির জায়গা আছে।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় দরকার রাজনৈতিক ঐক্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মাইনরিটিস ওয়াচ ও হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষ। হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক মাহবুব হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা কেন হয় তা নিয়ে শুধু আলোচনা হয়। কিন্তু এই হামলার কারণে কে লাভবান হচ্ছে এবং কী প্রক্রিয়ায় তা প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। হাসিনার পদত্যাগে সৃষ্ট অস্থিরতায় হিন্দুদের হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনা ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- এসব হামলাকে সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় বিবেচনায় চিহ্নিত করা কঠিন, রাজনৈতিক কারণেও হামলা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে জনরোষ ও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছেন। অনেকের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’ জোনায়েদ সাকি বলেন, রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলছে। তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে, এটা একটি রাজনৈতিক প্রচারণা। এই প্রচারণা করছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। ভারতের পত্র-পত্রিকার একটা অংশ করছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। এখানে একটা রাজনীতির জায়গা আছে। এই রাজনীতি যদি নতুন সরকারের বিরুদ্ধে করা যায়, তবে এদের দুর্বল করা যাবে। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিক সুবিধা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা