পদ্মা-যমুনায় মিলছে না ইলিশ, জেলেরা চিন্তিত
- আব্দুর রাজ্জাক ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশ মাছ ধরা শুরু হয়েছে। মানিকগঞ্জের শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলার যমুনা ও পদ্মা নদীতে যেন মাছ উৎসবে মেতেছেন জেলেরা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষের পর শুরুতেই কাক্সিক্ষত মাছ জালে ধরা না দেয়ায় জেলেদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। গত ৩ নভেম্বর রাত ১২টার পর থেকে জাল-নৌকা নিয়ে নদীতে জাল ও নৌকা নিয়ে অসংখ্য জেলে মাছ শিকারের জন্য নেমে পড়েছেন। সুনসান নীরব ঘাটগুলো হয়ে উঠছে ব্যস্তময়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলার দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার কয়েকটি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নদীতে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে মাছ ধরছেন। জেলেপল্লিতে কর্মচঞ্চল পরিবেশ বিরাজ করছে। ২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞা শেষে সবাই নদীতে নেমে পড়েছেন মাছ শিকারে।
দৌলতপুর উপজেলার নতুন শ্যামগঞ্জ বাজার ও আমতলী ঘাটের কয়েকজন জেলে জানান, গত ২২ দিন বেকার ছিলাম। অনেকেই এই কয়েক দিন অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেছে। আবার অনেকে নিজেদের নৌকা, জাল মেরামতে সময় কাটিয়েছেন।
আমতলী ঘাটে শ্যামল রাজবংশী বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মৌসুমের প্রথম থেকে ভালো মাছ পাওয়া যায়নি। অনেক জেলে নৌকা এখনো আর্থিকভাবে ঋণগ্রস্ত অবস্থায় আছেন। শিবালয় উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের সাজিদ, মনির ও কুরমান আলী জানান, শখের বসে এ বছর নদীতে মাছ ধরতে এসেছি। নদীতে আগের তুলনায় মাছ অনেক কম।
মঙ্গলবার ভোরে আরিচা মাছের আড়তে নরেশ হালদার জানান, নদীতে মাছ নাই। মাছ পেয়েছি মাত্র ৭টি। এভাবে মাছ পেলে খরচই উঠবে না। পেট চলবে কেমনে? এ আড়তে ইলিশ কিনতে আসা মানিকগঞ্জের কামরুল হাসান নামের এক ক্রেতা জানান, ঘাটে ক্রেতা অনেক বেশি, তাই দামও অনেক বেশি। তারপরও এসেছি তাজা ইলিশ কেনার জন্য। দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে এ মৌসুমে জেলেরা নদীতে জাল ফেলে কাক্সিক্ষত ইলিশ পাচ্ছেন না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা