২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পবিপ্রবিতে মাদক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন

-


পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) মাদক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। সম্প্রতি এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মাদকসেবীদের হাতেনাতে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিন বহিরাগতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ১৯ আগস্ট আবাসিক হলগুলোতে প্রক্টোরিয়াল বডির অভিযানে বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এমনকি গাজা সরবারাহকালে শিক্ষার্থীরা মাদক সরবরাহকারীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। মাদকের বিস্তার রোধে প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ-তৎপরতা দেখা গেলেও মাদকসেবী ও সরবরাহকারীদের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পবিপ্রবি প্রশাসন।
জানা গেছে, কিছু শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তার সাথে সুসম্পর্কের খাতিরে ক্যাম্পাসে অবাধ চলাফেরা ও যাতায়াতের সুযোগ পায় বহিরাগত মাদকসেবী চক্রটি। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ক্রমান্বয়ে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের জড়িত রেখে এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা মাদককারবার নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যাম্পাসকে মাদকের অভয়ারণ্য করে তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান অনুষদের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি বলেন, ‘বিগত সময়ের রাজনৈতিক প্রভাব এবং নতজানু প্রশাসনিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে কিছু বিপথগামী শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় অসাধু মাদক ব্যবসায়ীদের প্রত্যক্ষ তৎপরতা ক্যাম্পাসকে মাদক সেবনের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। যার দীর্ঘমেয়াদি ফলস্বরূপ হলগুলোতে মাদকসেবী শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত মাদকাসক্তদের যোগসাজশে শক্তিশালী চক্র তৈরি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের বিস্তার বেড়ে যাওয়া ও প্রশাসনের করণীয় সম্পর্কে এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো: ফাহিম বলেন, ‘মাদকের বিস্তার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হলো মাদক প্রাপ্তির সহজলভ্যতা এবং মাদক কারবারিদের হাতেনাতে ধরলেও প্রভাবশালী মহলের চাপে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসনের ব্যর্থতা। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম বলেন, মাদকের সাথে সম্পৃক্ত এমন যাকে আমরা পেয়েছি তার নামে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি। আদালত কেন তাদের বারবার জামিন দিয়েছে সে বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার খাঁন নয়া দিগন্তকে জানান, ‘কিছু অসাধু শিক্ষার্থী মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। তাদের মেন্ডেট নিয়ে বহিরাগত মাদকসেবীরা ক্যাম্পাসে ঢোকার সুযোগ পায়। এই বিষয়ে আমরা কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি, মাদকসেবীদের তথ্য পেলে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমার টিম নিয়মিত এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ছাত্র-শিক্ষকসহ সকলের সহযোগিতা পেলে অবশ্যই মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’

 


আরো সংবাদ



premium cement