০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের প্রয়োজন নেই

ইসি সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল
-

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোনো সংলাপে বসার দরকার নেই। তবে অংশীজনের সুস্পষ্ট মতামত নেয়া হবে। আর আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সংস্কারের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন (ইসি) সংস্কার বিষয়ক কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। নির্বাচন ব্যবস্থা বা নির্বাচন কার্যক্রম সুন্দরভাবে করার জন্য আমাদের কাজ হলো কিছু সুপারিশ করা।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গতকাল কমিশনের ১২তম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ, জেসমিন টুলী, ড. মো: আব্দুল আলীম, জাহেদ উর রহমান, মীর নাদিয়া নিভিন, মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস, ছাত্র প্রতিনিধি সাদিক আল আরমান, ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এবং উপসচিব মো: আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দলগুলোর সাথে বসবেন (সংলাপে) কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের কাজটা হলো কারিগরি। সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল। বস্তুত তাদের সাথে আমাদের কোনো মতবিনিময়ের কিছুই নেই। কারণ আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার নেই। তিনি বলেন, আমরা তাদের মতামত, সুপারিশগুলো- তাদের যে চিন্তা-ভাবনা আছে নির্বাচন ব্যবস্থাকে পরিশীলিত করার ব্যাপারে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে এবং অংশগ্রহণমূলক করার ব্যাপারে সেগুলো আমরা পেতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারের যে সংলাপ হবে তা আমাদের এবং অন্য সংস্কার কমিশনের কাছে তাদের দেয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে। আমরা তাদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট মতামত, প্রস্তাব নেবো।

তারা (দলগুলো) না বসলে কি মতামত দেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না বসার দরকার আছে। এখানে সুস্পষ্ট ধারণাগুলো দরকার। আমরা জেনারেল স্টেটমেন্ট চাই না। সুস্পষ্ট মতামত চাই। দলগুলোর অভিজ্ঞতা বেশি। কাজেই সুস্পষ্ট মতামত পেতে চাই। সাধারণ বক্তব্য তো আমরা সবাই জানি।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আপনারা সার্চ কমিটির সংস্কারের প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই প্রজ্ঞাপন দিয়ে দিয়েছে সরকার-বিষয়টি সামনে আনলে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। আর নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। সার্চ কমিটি তার নিজস্ব গতিতে কাজ করবে এবং আমরা আমাদের মতো কাজ করবো। আমরা যে প্রস্তাবগুলো দেবো, সেই প্রস্তাবগুলো কিছু বাস্তবায়ন করবে সরকার এবং কিছু করবে নির্বাচন কমিশন। তাই সার্চ কমিটির সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ১২টি সভা করেছি। এগুলো ফরমাল, ইনফরমালি আরো আলাপ আলোচনা করেছি। যে কাজটা করছি, এখন ছাত্র হয়ে গিয়েছি। অনেক আইন, বিধিবিধান পর্যালোচনা করছি। এর ভিত্তিতে আমরা যে ইস্যুগুলো চিহ্নিত করবো। তার ভিত্তিতে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নেবো। মতামত নেয়ার পর আমরা সরকারের সুপারিশ দেয়ার জন্য প্রস্তুত হবো। প্রবাসী ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারে সেই বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি। এর আগে ১১টি বৈঠক হলেও সাত সদস্যের সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি যোগ হলো বৃহস্পতিবার। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিক আল আরমান সদস্য হওয়ায় তাকে ধন্যবাদ দেন বদিউল আলম মজুমদার।


আরো সংবাদ



premium cement