স্বৈরাচারের দোসর চিকিৎসকদের বিএমডিসি নিবন্ধন বাতিল দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসাসেবা দিতে অস্বীকার ও বাধা প্রদানকারী স্বৈরাচারের দোসর চিকিৎসকদের বিএমডিসি নিবন্ধন বাতিলসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্যপরিষদের নেতারা। তাদের দাবি, গণ-অভ্যুত্থানের তৎকালীন প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে সাবেক ভিসির একান্ত সচিব ও সাবেক প্রক্টরের নেতৃত্বে একদল আওয়ামী শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা দাবি করেন, দ্রুততম সময়ে এদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যেসব শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত, পদাবনতি ও বরখাস্ত হয়েছেন; তাদেরকে স্বপদে বহাল করতে এবং উচ্চশিক্ষা অর্জনে তাদের প্রতি যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে, তা দূর করতে হবে। বৈষম্যের শিকার সব শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের অতি দ্রুত ভূপাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দিয়ে বৈষম্য দূর করা।
গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা: মিলন হলে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্যপরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্যপরিষদের সভাপতি ও বিএসএমএমইউর অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার-১ ডা: মো: দেলোয়ার হোসেন টিটো।
সঞ্চালনা করেন ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: রুহুল কুদ্দুস (বিপ্লব)। সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউর প্রক্টর ও ঐক্যপরিষদের উপদেষ্টা ডা: শেখ ফরহাদ, উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: মওদুদুল হক, উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: মো: আতিয়ার রহমান, উপদেষ্টা ডা: এরফানুল হক সিদ্দিকী, উপদেষ্টা ডা: শহিদুল ইসলামসহ ঐক্যপরিষদের ড্যাব ও এনডিএফের বিএসএমএমইউ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে নজিরবিহীন অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্য হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য কিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো- জুলাই আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে যারা চিকিৎসাসেবা দিতে অস্বীকার ও বাধা প্রদান করেছে তাদের তালিকা প্রণয়ন করে বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সব শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের অব্যাহতি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ছাড়া গত ১৬ বছরে সব কেনাকাটা, টেন্ডার ও নির্মাণে অনিয়মের তদন্ত করে বিচার দাবি করেন তারা। এ ছাড়াও বিগত ৪ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনের নেতৃত্বে যারা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হতাহত করে এবং আগুন দিয়ে কয়েক কোটি টাকার সরকারি সম্পদ ধ্বংস করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা