২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

-

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এবং চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্তসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে মো: ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো: তারেক আজিজ বলেন, ‘ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরের প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্য লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা: কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাস (২৫)। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫ থেকে ২০ জনকে। মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘৫ আগস্ট গণ-অভুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। গত ২৫ অক্টোবর লালদীঘি ময়দানে সনাতনীদের সমাবেশের দিন ওই পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা স্থাপন করে দেয়া হয়, যা রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার শামিল।’
এজাহারে আরো বলা হয়, ‘জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে আসামিরা দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার রাষ্ট্রদোহ কাজে লিপ্ত আছে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement