২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
বিশ্ব নগর দিবস উদযাপন

নগর উন্নয়নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তরুণের অংশগ্রহণ জরুরি

-

বিশ্বে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান বর্তমানে ১৬৮ নম্বর। যানজট, দূষণ, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নগর পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে অব্যবস্থাপনার কারণে শহরটি ক্রমে বসবাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ^ব্যাপী জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ নগর অঞ্চলে বসবাস করবেন এবং এর মধ্যে ৬০% এর বয়স হবে ১৮ এর নিচে। নগর অঞ্চলের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত ও সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। এ অবস্থায় বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে নগরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
গতকাল বিশ^ নগর দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের উদ্যোগে ‘নগরীর পরিবেশ উন্নয়নে তারুণ্য ভাবনা’ শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এ কথা বলেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা মো: মিঠুনের সঞ্চালনায় আয়োজনে বক্তব্য রাখেন তেঁতুলতলা মাঠরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সৈয়দা রত্না, গ্রিন ভয়েসের সহ সমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মান্নান মনির, শের-ই-বাংলা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন অপু, কনফিডেন্স মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাহাজ্জত হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে অব্যবস্থাপনার কারণে শহরটি ক্রমে বসবাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। সব মানুষের জন্য কোনো ইতিবাচক পরিস্থিতি এ শহরে নেই। এ শহরের পরিষেবাগুলো তাদের জন্য অভিগম্য নয়। অবকাঠামো ও প্রকল্পভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রমে মনোযোগ দেয়ায় ঢাকা কংক্রিট-সিমেন্টের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। পরিকল্পনাসংশ্লিষ্ট নগর সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা ঢাকার বাসযোগ্যতা আরো তলানির দিকে নিয়ে গেছে। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনেক অর্থ খরচ হয়েছে, কিন্তু জনবান্ধব কোনো কার্যক্রম গৃহীত হয়নি। পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সাধারণ জনগণের চাহিদার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের সবার প্রত্যাশা রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে শিশু, যুবক, তরুণ, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে যেন নগরে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, কনফিডেন্স মেমোরিয়াল হাইস্কুল, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থী এবং ট্রাস্টের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement