লোড কমানোয় সিলেটে গ্যাস সঙ্কট তীব্র
- আবদুল কাদের তাপাদার সিলেট
- ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৬
চাহিদার তুলনায় লোড কয়েক গুণ কমিয়ে দেয়ায় সিলেটজুড়ে গ্যাসসঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দাঁড়িয়েও গ্যাস পান না পরিবহন চালকরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ফিলিং স্টেশনের মালিকরা আন্দোলনে নামার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে।
তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ফিলিং স্টেশন। প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিক-চালক ও যাত্রীরা। বিশেষ করে, প্রতি মাসের শেষ দিকে সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাসসঙ্কট তীব্র হয়। এই অবস্থা চলছে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে। লোড না বাড়ানোর কারণে মাসের শেষ ১০ দিন চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে পারেন না বলে জানান সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। এ নিয়ে তারা বারবার গ্যাস বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিক আবেদন জানালেও কোনো কাজ হয়নি। বরং দিনকে দিন সঙ্কট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা কঠোর আন্দোলনের চিন্তাভাবনা করছেন।
মালিকরা জানান, ২০০৭ সাল থেকে সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে পরিবহনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে সিলেট বিভাগে রয়েছে ৫৬টি ফিলিং স্টেশন। গত এক দশক ধরে নতুন কোনো পাম্পের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না।
অন্য দিকে ২০০৭ সালের তুলনায় বর্তমানে সড়কে গাড়ি বেড়েছে চার গুণ। অথচ ২০০৭ সালের দেয়া লোড দিয়েই গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ কারণে ফিলিং স্টেশনের মালিকরা প্রতি মাসের শেষ ১০ দিন গ্যাস সঙ্কটে পড়েন।
মালিকরা আরো জানান, বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রতি ফিলিং স্টেশনের মালিকদের জন্য লোড নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বাইরে যেসব পাম্প গ্যাস বিক্রি করেন তাদের জরিমানার মুখে পড়তে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরীর বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘ গাড়ির লাইন। সোমবার নগরীর ইউসুফ আলী সিএনজি ফিলিং স্টেশন, আর রহমান ফিলিং স্টেশন, আল জালালা ফিলিং স্টেশন, কুশিয়ারা ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকার কারণে গ্যাসে তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়।
যে কয়েকটা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রয়েছে সেখানে দেখা গেছে প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন।
রোববার বন্ধ ছিল সিলেট নগরীর আম্বরখানা জালালাবাদ সিএনজি ফিলিং স্টেশন, টুকেরবাজার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিলিং স্টেশন, আখালালি শাহজালাল ফিলিং স্টেশন, তেমুখী সফাতউল্লাহ ফিলিং স্টেশন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি মাসের শেষ দিকে এসে সিলেটে গ্যাসসঙ্কট হয়। গাড়ির চালকসহ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
তারা বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে গ্যাস নিতে হয়। রোজগারের সময় চলে যায়, আমাদের মালিকের জমা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের পরিবার চালাতে খুব কষ্ট হয়। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের দাবি সিলেটে যেন গ্যাস সঙ্কটের সমাধান করেন।