অলি আহাদ আজীবন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন
- ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ডেমোক্রেটিক লীগ-ডিএল এবং অলি আহাদ স্মৃতি সংসদ যৌথভাবে এ আয়োজন করে। ডিএল সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। প্রধান বক্তব্য ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন অলি আহাদের মেয়ে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়কারী এনপিপির চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, গণদলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম গোলাম মাওলা, গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির মহাসচিব মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ডিএলএর সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মাজহারুল হক মিঠু, সহ-সভাপতি বাবু সুজন চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন, বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, প্রকৌশলী মো: শাজাহান, সমমনা জোটের নেতা আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
সভার শুরুতে অলি আহাদসহ ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএল সভাপতি মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বলেন, জাতীয় নেতা অলি আহাদ আজীবন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসা, সৎ নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য এবং দেশ-জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ত্যাগ করার শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, মানুষের সত্যিকার মুক্তির জন্য অলি আহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তরুণ প্রজন্মকে তার জীবন থেকে ত্যাগ শিখতে হবে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে অলি আহাদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে অলি আহাদ যে ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণ প্রজন্ম ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যে গণঅভ্যুত্থান করেছে তা একদিন বিশ্বে রোমান্টিক রেভ্যুলিউশন হিসেবে ইতিহাস করে নেবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন অলি আহাদ। নিষ্ঠা, সততা, স্পষ্টবাদিতা দিয়ে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল করে রেখেছেন। অলি আহাদকে অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতা আকৃষ্ট করতে পারেনি। অলি আহাদের অনেক কথা অনেকের পছন্দও হয়নি। কিন্তু এসব কথা যুক্তিযুক্ত ছিল বলে কেউ অগ্রাহ্য করতেও পারেনি। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা