২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

হাসিনাকে অর্থের জোগান দেয়া ব্যবসায়ীদেরও বিচার করতে হবে : ড. মাসুদ

পল্টন চায়না টাউন ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ : নয়া দিগন্ত -

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালাতে যেসব ব্যবসায়ী শেখ হাসিনাকে উৎসাহ, প্রেরণা ও অর্থের জোগান দিয়েছেন, তাদেরও বিচার করতে হবে। তারাও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর। গত ৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর জনগণের রক্তচোষা ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনার সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, যে কোনো কিছুর বিনিময়ে ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখবে। এ জন্য যা যা করার সবই করবে। এর আগে ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছিলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগকে মাঠে নামতে হবে না, শুধু ছাত্রলীগই যথেষ্ট। এক দিকে ব্যবসায়ীদের অর্থের জোগান, অন্য দিকে ওবায়দুল কাদেরের উসকানি দুইয়ে মিলে শুরু হয় গণহত্যা।
গত শনিবার রাতে রাজধানীর পল্টন চায়না টাউন ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মাসুদ বলেন, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দলীয় ব্যবসায়ী নামের কসাই ছাড়া কেউ নিরাপদে ব্যবসা করতে পারেনি। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ীদের সংগঠন দখল করে রাষ্ট্রীয় মদদে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক লুটপাট করেছে। মানুষ এখন ব্যাংকে নিজের জমা রাখা টাকা তুলতে গিয়ে পাচ্ছে না। সব টাকা আওয়ামী লীগ বিদেশে পাচার করেছে। আগামীতে জনগণ সুযোগ দিলে জামায়াতে ইসলামী অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডহীন বাংলাদেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রূপান্তর করতে পারবে। কারণ জামায়াতে ইসলামীর হাতে দেশ পরিচালিত হলে জনগণের এক টাকাও বিদেশে পাচার হবে না। অন্যরা ক্ষমতা দখলের আগেই চাঁদাবাজি, দখলবাজি শুরু করে দিয়েছে। নিজেরা নিজেরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচেবছ বলে শোনা যায়। আবার কিছু মিডিয়াও দখল করে নিজেদের লোক বসাচ্ছে, যাতে তাদের অপকর্ম জনগণের সামনে প্রকাশ না হয়। তবে জনগণ বুঝে গেছে কে ক্ষমতা গেলে লুটপাট করবে আর কে ক্ষমতা গেলে রাষ্ট্র গঠন করবে।
চায়না টাউন ওয়ার্ডের সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গাজী তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্টন দক্ষিণ থানার আমির শাহীন আহমদ খান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রব, অ্যাডভোকেট মারফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান শাহীন, মোহাম্মদ আল আমিন রাসেল, আব্দুল গফুর ভূঁইয়াসহ চায়না টাউন ওয়ার্ডের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement
আগামী বছর বেসরকারি স্কুলে লটারিতে ভর্তি, মানতে হবে নীতিমালা মঙ্গলবার ঢাকা আসছেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড দিয়ে রাজনীতির পটপরিবর্তন হয়ে যায় : রফিকুল ইসলাম ৩২ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই বিশেষ অভিযান জোরদার করার নির্দেশ আইজিপির অভিযান আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ গেল জেলের ফ্যাসিজম বিদায় নিয়েছে, এখন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার সময় : জুবায়ের সেনাবাহিনীর অভিযানে মোহাম্মদপুরে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীসহ ২২ জন গ্রেফতার পতিত সরকারের রাষ্ট্রপতির গুরুত্ব লগি-বৈঠা দিয়ে হত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার বিচার হবেই সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঝোঁক

সকল