পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র ও গ্রামীণফোনের পুরস্কার
- ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র গত ৪৬ বছর ধরে সারা দেশে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানা উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশভিত্তিক উৎকর্ষ [বইপড়া] কার্যক্রমের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বর্তমানে সারা দেশে এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বইপড়াকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুরস্কারের ব্যবস্থা।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা মহানগরের ৬২টি স্কুলের প্রায় ১৬ হাজার ছাত্রছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। এসব স্কুলের ৫ হাজার ১৩৭ জন ছাত্রছাত্রী মূল্যায়নপর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তাদের পুরস্কার প্রদানের জন্য আজ ও আগামীকাল বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একটি বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। দু’দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে আজ ঢাকা মহানগরের ৩২ স্কুলের ২ হাজার ৫১৬ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং আগামীকাল ২৯টি স্কুলের ২ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্যাটারিতে পুরস্কার গ্রহণ করবে।
উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি, কবি ও সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভুইয়া, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ইফতেখারুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ, গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।
অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, একটা বই, দুইটা বই কিংবা অনেক বই মানুষের জীবন বদলে দেয়। যুগের পর যুগ ধরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ মানুষকে বইয়ের সাথে সংযুক্ত করে রেখেছেন। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সবসময় বলেন, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। বড় স্বপ্ন দেখতে হবে, তোমার জন্য পৃথিবীতে যেন ইতিবাচক পরিবর্তন আসে, সেই স্বপ্ন দেখতে হবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে পর্বে বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের সাথে পুরস্কারের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়ে বলেন, এই পৃথিবীতে সুন্দর প্রাণ থাকার কারণে ৮৬ বছর বয়সে আমি এক যুবক, তোমাদের সামনে দাঁড়িয়ে কচি-কাঁচা হয়ে গেছি। আমরা প্রায় সোয়া দুই কোটি শিক্ষার্থীকে বই পড়িয়েছি। স্কুলের বইয়ের পাশাপাশি এই বই পড়লে যে মন খোলবে, তা মেধা-মননে বিকাশ ঘটাবে। বইয়ে জগতের স্বপ্নগুলো আমরা তোমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছি, আমরা ৪৬ বছর ধরে এ কাজ করে যাচ্ছি, শিগগিরই আমরা আরো এক থেকে দেড় কোটি শিক্ষার্থীকে পড়ানোর স্বপ্ন দেখছি।
এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার শিরোনামের চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। আজকে দিনব্যাপী ঢাকা মহাগরের ৩২টি স্কুলের ২ হাজার ৫১৮ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীতে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ২০৫৪ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ৩৬৮ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৫৬ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৪০ জন। বিজয়ী ২ হাজার ৫১৮ জন শিক্ষার্থীকে সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং আগামীকাল ২ হাজার ৬১৯ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীতে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ২১৭৭ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ৩৯০ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ২১ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৩১ জন পুরস্কার পাবে। কর্মসূচির নিয়মানুসারে সেরা পাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জনে একটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক [প্রোগ্রাম] মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। দু’দিনব্যাপী এই উৎসবের বিশাল এ আয়োজন ও পুরস্কারের বই স্পন্সর করছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা