তারকা হোটেলে পর্যটক ও অতিথি ২০-৩০ শতাংশে নেমেছে
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫, আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৮
ভিআইপি অতিথি ও পর্যটকের অভাবে ভুগছে দেশের তারকা মানের বিলাসবহুল হোটেলগুলো। মূল্যস্ফীতি বাড়ায় পরিচালন ব্যয় বাড়লেও সেই তুলনায় আয় বাড়েনি এ খাতে। ফলে এ খাতের উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা চাপের মুখে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা)।
সংগঠনের সভাপতি এইচ এম হাকিম আলী দাবি করেছেন, এক দিকে ব্যাংকঋণের উচ্চসুদহার পরিশোধ করতে হচ্ছে। অন্য দিকে আয় কমে গেলেও সময়মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে এ খাতে অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রকট হচ্ছে।
বিহার মতে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বিভাগীয় শহরগুলোতে অবস্থিত তারকামানের হোটেলগুলো এখনো তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারেনি। বিশেষ করে গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটক, অতিথি ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানসহ বড় বড় সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠানাদি কমে যাওয়ায় তারকা মানের হোটেলগুলোর আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিহা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে গত জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে কঠিন সময় পার করছে তারকামানের হোটেলগুলো। কারণ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পর্যটক বাংলাদেশে ভ্রমণে সেই সময় অনাগ্রহী ছিলেন। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতি এখন কিছুটা উন্নতি হলেও পর্যটক ও অতিথি সঙ্কটে ভুগছে হোটেলগুলো। বিহার মতে, তারকামানের হোটেলগুলোর পর্যটক ও অতিথি উপস্থিতির হার ২০-৩০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সাধারণত ৭০-৮০ শতাংশের মধ্যে থাকে।
হোটেলগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত আয় করতে পারছে না। এর সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, যা এখনো তুলে নেয়া হয়নি। এতে করে এ শিল্প আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫১টি নিবন্ধিত তারকামানের হোটেল রয়েছে। এর সঙ্গে প্রায় আরো দুই হাজার অতিরিক্ত হোটেল রয়েছে, যেগুলো রেটিং ছাড়াই পরিচালিত হয়।
বিহার মতে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিবন্ধিত তারকামানের হোটেলগুলোর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা