২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের কষ্ট লাঘবে কাজ করছে সরকার : মৎস্য উপদেষ্টা

-

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের কষ্ট লাঘবে সরকার কাজ করছে। রাজধানীর একটি হোটেলে ইকোফিশ-২ প্রকল্পের রেজাল্ট শেয়ারিং এবং ফেজ-আউট কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ইকোফিশ-২ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসএআইডি-এর সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ আমাদের খুব বড় একটা সম্পদ। ইলিশের সাথে অনেক জেলে ও জেলে পরিবার জড়িত আছে। মা ইলিশকে রক্ষা করতে, জেলেদের রক্ষা করতে আমরা কাজ করছি। তবে আমার মনে হয় না, সেটি যথেষ্ট। ইলিশ ধরায় বর্তমানে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে, এ সময় যেন জেলেরা কষ্ট না পায়, তাদের যেন অভুক্ত থাকতে না হয়, সেটির জন্য সরকার চেষ্টা করছে। এই সাহায্য আরো বাড়ানো হবে।
বাংলাদেশ গরিব দেশ নয় উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের যে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, সামুদ্রিক সম্পদ রয়েছে, আমরা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমাদের গরিব থাকার কথা নয়। আমাদের নারীরা যদি স্বাবলম্বী হয় তাহলে তাদের আর বসে থাকতে হবে না, পাখা মেলে উড়তে পারবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রকল্পটি উপকূল এবং সাগরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। ইকোফিশ-২ মৎস্য অধিদফতর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করছে।
কক্সবাজারের জোন অব রেজিলিয়েন্স, মেঘনা নদীর মোহনা এবং নিঝুমদ্বীপের সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকার ১৫ হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের ৭২ হাজারের বেশি মানুষ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে। এই প্রকল্প গত পাঁচ বছরে ৪২৯টি ফিশারিজ কনজারভেশন গ্রুপের ১৫ হাজার বেশি মৎস্যজীবীকে প্রশিক্ষিত করেছে, যা মৎস্যজীবীদের উপকূলীয় সম্পদের প্রতি দায়িত্বশীল করার পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়ন কাজ করেছে।
এ সময় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইকোফিশ-২ প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ড. মোহাম্মদ মোকাররম হোসেইন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর মিশন ডিরেক্টর রিডজে. অ্যাশলিম্যান, ওয়ার্ল্ডফিশের প্রোগ্রামস অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর, ড. অ্যান এলিজাবেথ ফ্লে¬মিং ও ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইন্টারিম কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. বিনয় কুমার বর্মণ।


আরো সংবাদ



premium cement