অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ন্যাশনাল টি’র শ্রমিকরা, বকেয়া মজুরির দাবি
- সিলেট ব্যুরো ও কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
বকেয়া মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সিলেট লাক্কাতুরাসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে এনটিসির ১৬টি চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর আগে, গত সোমবার এনটিসির কমলগঞ্জের চা বাগানের শ্রমিকরা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন।
চা শ্রমিকদের ভাষ্যমতে, শ্রমিকদের পাঁচ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। মজুরি না পেয়ে অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তারা কাজে ফিরবেন না।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এনটিসির বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিক নেতারা গত রোববার বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সোমবার থেকে এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। তারা জানান, শ্রমিকদের ৫ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, সারা দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৬টি চা বাগান আছে। এসব বাগানে প্রায় ১৭ হাজার চা শ্রমিক কাজ করেন। তাদের ওপর আরো ৩০ হাজার মানুষের ভরণপোষণ নির্ভর করে।
কমলগঞ্জের পদ্মছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বলেন, আমাদের শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই। তারা অনেক কষ্ট করে চলছেন। এখন পেটে ক্ষুধা নিয়ে শ্রমিকরা কাজ করবেন কিভাবে?
চা শ্রমিকদের কর্মবিরতির কর্মসূচিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলগঞ্জ উপজেলার এনটিসির এক ব্যবস্থাপক জানান, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি না দেয়ায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। টাকা না থাকায় শ্রমিকদের পেমেন্ট দেয়া যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদী।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক নয়া দিগন্তকে জানান, শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন না হওয়ার কারণে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পরিষদ গঠন হবে এবং শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে পারব। তিনি আরো বলেন, এখন চা বাগানগুলোতে উৎপাদনের সময়। এখন যদি শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যান, তাহলে বাগানের অনেক ক্ষতি হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা